—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি বাতিল হলেও, ভোটকর্মী হিসাবে নিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়ে অসুবিধা হবে না বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন। তারা জানাচ্ছে, চাকরি যাওয়ার ফলে ওই শিক্ষকদের ভোটকর্মীর কাজ থেকে বাদ দেওয়া হলেও, ভোটে তার প্রভাব পড়বে না। হাতে রাখা অতিরিক্ত কর্মীরা সেই ঘাটতি মিটিয়ে দেবেন। তবে কমিশন এখনই এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। সোমবার রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) অরিন্দম নিয়োগী বলেন, ‘‘আদালতের রায় খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
বুথে ভোটকর্মী হিসাবে শিক্ষকদের কাজে লাগায় কমিশন। বুথের ভিতরে তাঁরাই ভোট পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত থাকেন। আগামী শুক্রবার রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ রয়েছে। এমতাবস্থায় এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় দেয় আদালত। তার মধ্যে বড় সংখ্যায় শিক্ষক রয়েছেন। দ্বিতীয় দফার ভোটে চাকরিচ্যুত কোনও শিক্ষক ভোটকর্মী হিসাবে থাকলে কমিশনের পদক্ষেপ কী হবে? অথবা, চাকরি না থাকলে কোন পরিচয়ে তাঁরা ভোটকর্মী হিসাবে বিবেচিত হবেন? উঠে আসছে এমন সব প্রশ্ন। রাজ্যের অতিরিক্ত সিইও অরিন্দম জানান, ভোটে এর প্রভাব পড়ার সুযোগ নেই। কারণ, ভোটে সব সময় ২০-২৫ শতাংশ অতিরিক্ত ভোটকর্মী রাখা হয়। কোনও ভোটকর্মীর চাকরি চলে গেলে ওই দায়িত্বে অন্য কাউকে নিয়োগ করা হবে।
সোমবার হাই কোর্ট এসএসসির প্রায় ২৬ হাজার নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয়। তার মধ্যে প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষক রয়েছেন। কমিশন সূত্রে খবর, দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য ভোটকর্মীদের নাম চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বুধবারই অনেকে ভোটের কাজে রওনা হবেন। বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাঁদের বুথে পৌঁছনোর কথা। কমিশনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এই অবস্থায় ভোটকর্মী পরিবর্তন বাড়তি ঝামেলার কাজ। কারণ, ওই সব প্রার্থীদের চিহ্নিত করার কাজ যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। চিহ্নিত করার পরে তাঁদের ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’’ তবে এরই মধ্যে হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ আদায় করতে পারলে সেই ঝামেলা আর থাকবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy