অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
বিচারপতির চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে তিনি এখন ভোট-প্রার্থী। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই ভূমিকা বদলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একসময় তাঁকে ভরসা করা ‘বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের’ একাংশ। অভিজিতের অবশ্য যুক্তি, বহু ক্ষেত্রেই এজলাস বদল হওয়ায় চাকরি-মামলার রায়দান তাঁর হাতে হয়নি। তাই তিনি রায়দান করেননি, এমন কথা ঠিক নয়। এ ভাবে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো উচিত হবে না।
লোকসভা নির্বাচনে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ বৃহস্পতিবার কোলাঘাটে প্রচারে গিয়ে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অভিজিতের উপর ভরসা করলেও, পূর্ব মেদিনীপুর জেলারই একাংশ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী ভিন্নমত। তাঁদেরই এক জন নন্দীগ্রামের মনোহরপুরে লক্ষ্মী তুঙ্গ। দীর্ঘ এক বছর অভিজিতের এজলাসে মামলা চলাকালীন যে আশার আলো তাঁরা দেখেছিলেন, অভিজিৎ রাজনীতিতে আসায় তা নিভে গিয়েছে। তাঁকে আর তাঁরা ভরসা করতে পারছেন না।
অভিজিৎ বলেন, ‘‘এসএসসি নিয়োগ মামলা (যার মধ্যে লক্ষ্মীর মামলাও আছে), তাতে যা নির্দেশ হয়েছিল তার বিরুদ্ধে শীর্ষ কোর্টে আপিল হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি-র সব মামলা একটি নির্দিষ্ট ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়েছে। বিচারপতি জীবনের শেষ কয়েক মাস আমি ওই মামলা শুনিনি।’’ বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসি মামলার শুনানি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। রায়দান এখনও হয়নি।
লক্ষ্মীর স্বামী অতনু তুঙ্গর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ১৯১১ জনের গ্রুপ ডি-র চাকরি চলে গিয়েছিল। উনি যে সবার কথা শুনে রায় দেননি, তা সুপ্রিম কোর্টে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এর পরেও কি ওঁর প্রতি ভরসা করা যায়।’’
তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, ‘‘উনি পর্যবেক্ষণেই বলেছিলেন, ‘ঢাকি-সহ বিসর্জন দেব’। ওঁর নির্দেশে ৩২,০০০ শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছিল। ওঁকে যে চাকরিপ্রার্থীরা ভগবানের আসনে বসিয়েছিল, তারাই টেনে নামাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy