(বাঁ দিকে) অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং রাহুল গান্ধী। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতায় সক্রিয় হয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)। দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে তিনটি কংগ্রেসকে ছাড়ার জন্য আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল ‘বার্তা’ পাঠিয়েছেন বলে ‘ইন্ডিয়া টুডে’তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার দাবি করা হয়েছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল বুধবার লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘দেখা যাক আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে কী হয়।’’ তবে সমঝোতার বিষয়টি আরও আগে চূড়ান্ত হওয়া উচিত ছিল বলেও জানান তিনি। কেজরীর দলের তরফে বুধবারই তিন আসন ছাড়ার ‘বার্তা’ কংগ্রেস হাইকমান্ডকে দেওয়া হয়েছে বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি। ঘটনাচক্রে, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার আবার কেজরীকে সমন পাঠিয়েছে ইডি।
জানুয়ারিতে কংগ্রেস এবং আপ নেতৃত্ব আসন সমঝোতা নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা করলেও জট কাটেনি। সূত্রের খবর আপের তরফে দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে একটি বা দু’টি ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস অন্তত তিনটিতে লড়ার দাবিতে অনড় থাকায় আলোচনা ভেস্তে গিয়েছিল। কংগ্রেস নেতা মুকুল ওয়াসনিকের নেতৃত্বে গঠিত আসন সমঝোতার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির অন্য চার সদস্য— রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত, ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদ এবং এআইসিসির প্রাক্তন মুখপাত্র মোহন প্রকাশ ছিলেন বৈঠকে। সঙ্গে ছিলেন দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অরবিন্দর সিংহ লভলীও। অন্য দিকে, আপের তরফে রাজ্যসভা সাংসদ সন্দীপ পাঠক এবং দিল্লির দুই মন্ত্রী অতিশী এবং সৌরভ ভরদ্বাজ অংশ নিয়েছিলেন জানুয়ারির রফা-আলোচনায়।
ইতিমধ্যেই পঞ্জাব, গুজরাত, অসম, গোয়া-সহ বিভিন্ন রাজ্যে লোকসভা ভোটে ‘একলা চলো’র বার্তা দিয়েছে আপ। ওই রাজ্যগুলির কিছু আসনে একতরফা প্রার্থী ঘোষণাও করেছে তারা। কিন্তু ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ দিল্লিতে এখনও কেজরীর দল একতরফা কোনও পদক্ষপ করেনি। খোলা রেখেছে সমঝোতার পথ। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ‘আপ’ শাসিত দিল্লির সাতটি আসনের সবগুলি আসনই জিতেছিল বিজেপি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তার মধ্যে পাঁচটি আসনেই কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থানে ছিল। যদিও ২০২০ সালে দিল্লির বিধানসভায় বেশির ভাগ আসনে জিতে কেজরীওয়াল ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। গত বছর দিল্লির পুরসভাও বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে আপ। এই পরিস্থিতিতে আপ এবং কংগ্রেসের জোট হলে দেশের রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে ভোট পণ্ডিতদের একাংশ মনে করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy