—নিজস্ব চিত্র।
বাড়িতে ভোট চাইতে এসে নাকি কামড় দিয়েছেন বিজেপির লোকেরা! সেই কামড়ে নাকি হাতের আঙুলও খুইয়েছেন তৃণমূল কর্মী! শাসকদলের এই অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে গ্রেফতার হলেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। যে তৃণমূল কর্মীর হাতের আঙুল খুবলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যাকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে।
বুধবার রাতে জামালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী বাবাই মিস্ত্রি। তাঁর বাড়ি জৌগ্রামের বাদপুর গ্রামে। তাঁর অভিযোগ, বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ তাঁদের গ্রামের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা জবা মির্ধা, তাঁর স্বামী কার্তিক মির্ধা দলীয় কর্মীদের নিয়ে তাঁদের বাড়িতে ভোট চাইতে আসেন। বাড়ির দেওয়ালে তৃণমূলের পোস্টার লাগানো রয়েছে দেখে তাঁরা চটে গিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন। বাবাইয়ের বক্তব্য, তিনি তার প্রতিবাদ করলে কার্তিক ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে তাঁর হাতের অনামিকায় কাম়ড় বসিয়ে দেন। কামড়ে খুবলে নেন আঙুলের একাংশ। তাঁকে প্রাণে মারার হুমকিও দেন। এর পর তাঁকে জামালপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা করিয়েই থানায় এসেছেন তিনি।
কার্তিকের অবশ্য দাবি, বাবাই সম্পূর্ণ উল্টো বয়ান দিয়েছেন পুলিশের কাছে। তিনিও থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, বিজেপির হয়ে ভোটপ্রচারের জন্যে তিনি ও তাঁর স্ত্রী জবা দলের কয়েক জনকে নিয়ে বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ বাদপুরের হরিমন্দির এলাকায় যান। ওই সময় পরিকল্পনামাফিক এলাকার তূণমূল কর্মীরা রড, বাঁশ, শাবল নিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হন। অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে থাকেন। কার্তিকের অভিযোগ, তিনি ওই সময় প্রতিবাদ করলে বাবাই ও তাঁর দলবল তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারতে শুরু করেন। তা দেখে তাঁর স্ত্রী জবা ছাড়াতে গেলে তাঁর উপরেও চড়াও হন বাবাই। তাঁরা জবার শ্লীলতাহানিও করেন। তাঁদের প্রাণে মেরে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন। পাড়া-প্রতিবেশীরা এসে তাঁদের উদ্ধার করেন বলে কার্তিক পুলিশকে জানিয়েছেন। কার্তিক বলেন, ‘‘ধাক্কাধাক্কির সময় দরজার কোণে আঙুল লেগে গিয়ে হয়তো অমনটা হতে পারে। আমি বাবাইয়ের আঙুল কামড়ে খেয়ে নিয়েছি বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা মিথ্যা।’’
এই ঘটনায় জামালপুরের তৃণমূল বিধায়ক অলোক মাঝি বলেন, “বাংলার ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে হোক, এটা বিজেপি চায় না। জৌগ্রামের বাদপুরের ঘটনা তার বড় প্রমাণ। ভোট চাইতে যাওয়ার নাম করে বাদপুরে তৃণমূল কর্মী বাবাই মিস্ত্রির বাড়িতে গিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করে তাঁর হাতের আঙুল কামড়ে খেয়ে নিয়েছে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। এই সব অপকর্মের জবাব জামালপুরের মানুষ ইভিএমে দেবেন।’’ পাল্টা বিজেপি নেতা রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভোটের সময় সারা বাংলা জুড়ে হিংসার বাতাবরণ তৈরি করেছে তৃণমূল। বিজেপি কর্মীরা ভোটপ্রচারে বার হলেই তৃণমূল কর্মীদের হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। বিজেপির মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যেরাও সেই হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। তার বড় প্রমাণ জৌগ্রামের বাদপুরের ঘটনা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy