Shahid Latif Killed in Pakistan

ভারতের বিমান ছিনতাই থেকে পঠানকোটে হামলার ছক, পাকিস্তানে নিহত শাহিদ লতিফ আসলে কে?

২০১৬ সালে পঠানকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। চার দিন ধরে জঙ্গি এবং সেনা জওয়ানদের মধ্যে চলেছিল গুলির লড়াই। সেই হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন লতিফ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৩৯
Who is Shahid Latif man who has been killed in Pakistan

পঠানকোট হামলার মূল চক্রী শাহিদ লতিফ। —ফাইল চিত্র।

পাকিস্তানের মাটিতে খুন হয়ে গিয়েছেন জইশ জঙ্গি শাহিদ লতিফ। বুধবার শিয়ালকোটে কয়েক জন দুষ্কৃতীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছেন তিনি। কারা তাঁকে মারল, স্পষ্ট নয়। ভারতের খাতায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ছিলেন লতিফ।

Advertisement

২০১৬ সালে পঠানকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। চার দিন ধরে জঙ্গি এবং সেনা জওয়ানদের মধ্যে চলেছিল গুলির লড়াই। সেই সংঘর্ষে ভারতের সাত জন নিরাপত্তারক্ষী এবং এক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। পাকিস্তানে বসে এই হামলার পরিকল্পনা এবং পরিচালনা করেছিলেন লতিফ। তিনিই চার জঙ্গিকে হামলার দায়িত্ব দিয়ে পঠানকোটে পাঠিয়েছিলেন।

২০১৬ সালের ২ জানুয়ারির সেই পঠানকোট হামলার স্মৃতি এখনও টাটকা। সাত বছর পর সেই হামলার মূল চক্রীকে পাকিস্তানের মাটিতেই খুন হতে হল। শুধু পঠানকোট নয়, লতিফের ইতিহাস আরও পুরনো।

পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের সক্রিয় সদস্য ছিলেন লতিফ। তিনি জইশের লঞ্চিং কমান্ডার হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। একাধিক বড় হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন এই লতিফ।

পঠানকোট হামলার তদন্তে জানা যায়, পাকিস্তানে বসে চার জইশ জঙ্গির সঙ্গে ভারতে হামলার পরিকল্পনা করেন লতিফ। তাঁর কথাতেই ২০১৬ সালে নতুন বছর শুরু হতেই কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল চার জন। বায়ুসেনার ঘাঁটিতে অতর্কিতে তারা হামলা চালায়। শুরু হয় গুলিবর্ষণ। চার দিনের লড়াইয়ের শেষে জইশের ওই চার জঙ্গিও ভারতীয় জওয়ানদের গুলিতে খতম হয়।

হামলার এক দিন পরে ৩ জানুয়ারি পঠানকোটের সেনাঘাঁটিতে একটি বড়সড় বিস্ফোরণ করা হয়েছিল। তারও ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন লতিফ। সেই বিস্ফোরণে আরও এক নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়।

পাক জঙ্গি লতিফ ১৯৯৪ সালে জম্মু থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এবং মাদক পাচারের অভিযোগ ছিল। ২০১০ সালে লতিফকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেয় ভারত সরকার।

ভারতের তৎকালীন সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির জন্য সে সময় লতিফ-সহ ২০ জন জঙ্গিকে মুক্তি দিয়েছিল। কাঁটাতার পেরিয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তাঁদের।

১৯৯৯ সালে ভারতে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ছিনতাই করার নেপথ্যেও এই লতিফের হাত ছিল বলে মনে করা হয়। তিনিই বিমান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনাটি করেছিলেন। পরে পঠানকোট হামলার তদন্তভার পায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তারাই লতিফের সম্বন্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জোগাড় করেছিল।

Advertisement
আরও পড়ুন