ইজ়রায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজ়ায় ঘরছাড়া এক লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০ জন। ছবি: রয়টার্স।
প্যালেস্তাইনকে ইউক্রেন ভাবলে চলবে না। ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র বাহিনী হামাস গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধের আবহে এমনটাই মন্তব্য করল লেবাননের জঙ্গি সংগঠন হেজবুল্লা। আমেরিকা-সহ ইজ়রায়েলের সমর্থক দেশগুলিকেই মূলত এই বার্তা দিয়েছে লেবাননের এই জঙ্গি গোষ্ঠী। সম্প্রতি হামাসের হাতে আমেরিকার বহু নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে, এমনটা দাবি করে ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জো বাইডেনের দেশ। ইজ়রায়েলে যুদ্ধজাহাজ এবং অন্যান্য সামরিক সহায়তা পাঠানোর কথাও ঘোষণা করেছে ওয়াশিংটন। আর তার পরেই ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ করা নিয়ে এমন মন্তব্য করেছে হেজবুল্লা গোষ্ঠী।
একটি বিবৃতি জারি করে লেবাননের ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘প্যালেস্তাইনকে ইউক্রেন ভাবলে ভুল করবে অন্যেরা। বাইরের কোনও শক্তি ইজ়রায়েল এবং হামাসের সংঘাতে হস্তক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পাশাপাশি, ইজ়রাইল-হামাস সংঘর্ষে তৃতীয় কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপ করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়াও।
ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্তাইনের সশস্ত্রবাহিনী হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট এক হাজার ৬৬৫ জন মারা গিয়েছেন। ইজ়রায়েলে প্রায় ৯০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৩০০ জন আহত হয়েছেন। গাজ়ায় নিহত হয়েছেন ৭৬৫ জন।
ইজ়রায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজ়ায় ঘরছাড়া এক লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০ জন। মঙ্গলবার এই কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। গত শনিবার থেকে ইজ়রায়েলে হামলা চালাচ্ছে প্যালেস্তাইনের হয়ে অস্ত্র হাতে নেওয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংগঠন ওসিএইচএ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, শনিবার থেকে গাজ়ায় হিংসার কারণে ঘরছাড়া এক লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০ জন। তাঁরা এখন আশ্রয় নিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি স্কুলে। তাঁদের মধ্যে তিন হাজার মানুষ ইজ়রায়েল-হামাসের সংঘর্ষের কারণে আগে থেকেই ঘরছাড়া।