বাড়ি ফেরার সময় ইজ়রায়েলি বন্দিদের উপহারের ব্যাগ দেয় হামাস। ছবি: সংগৃহীত।
বহু দিন বন্দিদশা কাটিয়েছেন। কোনও দিন মুক্তি মিলবে, এমন আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। তবে ৪৭১ দিন পর প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে খুশি ইজ়রায়েলের তিন বাসিন্দা। বন্দিদশা কাটিয়ে বাড়ি ফেরার সময় সেই ইজ়রায়েলিদের হাতে উপহারের প্যাকেট তুলে দিল হামাস। কিন্তু কী রয়েছে সেই প্যাকেটে তা নিয়ে কৌতূহল জন্মেছে অনেকের মনেই!
বেশ কয়েক়টি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি, মুক্তি দেওয়ার সময় হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেড তিন বন্দির হাতে উপহারের ব্যাগ দিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে একটি শংসাপত্র, একটি নেকলেস এবং কিছু ছবি! প্যাকেটের গায়ে কামাস ব্রিগেডের লোগো। শংসাপত্রে আরবি এবং হিব্রু ভাযায় লেখা, ‘মুক্তির সিদ্ধান্ত’।
উপহার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুক্তি পাওয়া রোমি গোনেন নামে মহিলার পরিবারের এক সদস্য। রোমি ছাড়াও মুক্তি পেয়েছেন জোরন স্টেইনব্রেচার এবং এমিলি দামারি। যদিও সেই উপহারের প্যাকেট বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি তিন বন্দি। ইজ়রায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা তা বাজেয়াপ্ত করে। তবে হামাস কী ধরনের ছবি উপহার হিসাবে দিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কিছু ইজ়রায়েলি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ১৫ মাস বন্দিদশায় থাকাকালীন কী অবস্থায় ছিলেন, তারই ছবি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল হামাস। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১২০০ জনের। ২৫০ জনকে পণবন্দি করা হয়। তার পর গাজ়ায় হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে ইজ়রায়েল। ফলে মৃত্যু হয় ৪৭ হাজার প্যালেস্টাইনির। তার পর থেকেই দু’পক্ষ হামলা শুরু করে। কাতারের মধ্যস্থতায়, আমেরিকা এবং মিশরের চেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজ়রায়েল এবং হামাস। তার পর থেকে শুরু হয় বন্দি মুক্তির প্রক্রিয়া।
যুদ্ধবিরতির অন্যতম শর্ত হিসাবে প্রথম দফায় মুক্তি পেতে চলা ইজ়রায়েলি বন্দিদের নাম প্রকাশ করার কথা ছিল হামাসের। কিন্তু ইজ়রায়েল রবিবার সকালে দাবি করে, সেই নামের তালিকা তারা হাতে পায়নি। বেলায় হামাস তিন যুদ্ধবন্দির নামের তালিকা প্রকাশ করে। ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দফতর আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই তালিকা হাতে পাওয়ার কথা জানায়। ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় ওই ইজ়রায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেয় হামাস।