Donald Trump on H-1B Visa

কর্মদক্ষেরা আমেরিকায় আসুন! এইচ১বি ভিসা নিয়ে বিতর্কের মাঝেই মুখ খুললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

ট্রাম্পের প্রথম জমানায় সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এইচ১বি ভিসা। গত বছরে নির্বাচনের আগেও বিদেশ থেকে কর্মী আনার বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তার জেরে বিতর্ক এবং সংশয় রয়েই গিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:০১
ভিসা-বিতর্কে মুখ খুললেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ভিসা-বিতর্কে মুখ খুললেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইছেন যাতে কর্মদক্ষ মানুষেরা সে দেশে যান। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস থেকে এ কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। এইচ১বি ভিসা নিয়ে বিতর্ককে সঙ্গী করেই সোমবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের দ্বিতীয় জমানায় এইচ১বি ভিসার প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে অনেক দিন ধরেই। এই আবহে আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের জেরে ভিসা-বিতর্কে আরও ঘৃতাহুতি দেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

ওপেন এআই সংস্থার কর্তা স্যাম অল্টম্যান, সফ্‌টব্যাঙ্ক কর্তা মাসায়োশি সন এবং ওরাক্‌ল কর্তা ল্যারি এলিসনের সঙ্গে মঙ্গলবার সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প। এর পর তিন ‘প্রযুক্তি-দৈত্য’ সংস্থার কর্তাকে নিয়ে হোয়াইট হাউস থেকে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানে ভিসা বিতর্ক প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “উভয় পক্ষের যুক্তিকেই আমি পছন্দ করি। তবে আমাদের দেশে আসা অত্যন্ত দক্ষ ব্যক্তিদেরই আমার পছন্দ। এমনকি যাঁদের যোগ্যতা নেই, এমন ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ এবং সাহায্য করার জন্যও যদি কেউ আসেন, তাঁকেও আমি পছন্দ করি।”

ট্রাম্পের বক্তব্য, তিনি চান দক্ষ মানুষেরা আমেরিকায় যান। তিনি বলেন, “এইচ১বি আমি খুব ভাল করে বুঝি। সুরা বিশেষজ্ঞ কিংবা রেস্তরাঁয় কর্মদক্ষ পরিবেশক (ওয়েটার)— প্রতিটি ক্ষেত্রেই উৎকৃষ্ট মানুষদের প্রয়োজন। আমি চাই সত্যিকারের যোগ্য, কর্মদক্ষ মানুষেরা এ দেশে আসুন। এইচ-১বি ভিসার মাধ্যমেই আমরা এই লক্ষ্যে পৌঁছব।”

বস্তুত, কর্মসূত্রে আমেরিকায় যেতে গেলে এই এইচ১বি ভিসার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে আমেরিকায় এই ভিসাধারীদের মধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশই ভারতীয়। এইচ-১বি ভিসায় ছ’বছরের জন্য কেউ আমেরিকায় থাকতে পারেন। প্রথমে এটি তিন বছরের জন্য দেওয়া হয়। পরে আরও তিন বছর ভিসার মেয়াদ বর্ধিত করা যায়। ২০২০ সালে ট্রাম্পের আমলে এইচ-১বি ভিসা সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এ বারের ভোটের আগেও এইচ-১বি ভিসার মাধ্যমে বিদেশ থেকে কর্মী আনার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। ট্রাম্পের শপথগ্রহণের ঠিক আগেই আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিওরিটি সম্প্রতি এই ভিসার নিয়মে বেশ কিছু বদল এনেছে। গত শুক্রবার থেকে এইচ-১বি ভিসার নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে। ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিওরিটি অবশ্য এটিকে ‘আধুনিকীকরণ’ বলেই ব্যাখ্যা করছে।

Advertisement
আরও পড়ুন