প্রতীকী ছবি।
বন্ধ ঘর থেকে বছর সতেরোর এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার ডোমজুড়ে। আত্মহত্যা না কি মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদি ওই তরুণী আত্মহত্যা করে থাকে, তবে কেন, সেই প্রশ্নের উত্তরও খুঁজছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবা মোবাইল দেননি। সেই রাগেই হয়তো আত্মঘাতী হয়েছে সে।
ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড়ের দক্ষিণ ঝাপড়দহ গড়বাগান এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম ফারিয়া মিদ্দা। ২০২৪ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু উত্তীর্ণ হতে না পারায় পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। বাড়িতেই থাকত সে। বুধবার বাবার থেকে মোবাইল চেয়েছিল। কিন্তু তার বাবা মোবাইল নিয়ে চলে যান। বিকেলের দিকে বাড়ি ফিরে এসে দেখেন তাঁর মেয়ের ঘর বন্ধ। ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না পেয়ে চিন্তায় পড়েন। তার পরই দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ফারিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
গলায় ফাঁস লাগিয়ে সিলিং থেকে মেয়েকে ঝুলতে দেখে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন ফরিয়ার বাবা। সেই চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকেরা ফরিয়াকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডোমজুড় থানার পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী ঘটেছে, তা জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এ ব্যাপারে পরিবার কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।