প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র
নরেন্দ্র মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করল আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক কমিশন বা ইউএসসিআইআরএফ। গোটা বিশ্বে ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর নজর রাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত এই আমেরিকান সংস্থাটি তাদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে জো বাইডেন সরকারকে অনুরোধ করেছে, ভারত সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এবং সেগুলির যে সব কর্তা ধর্মীয় স্বাধীনতা ‘গুরুতর লঙ্ঘনে দোষী’, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হোক। পাশাপাশি তাদের বার্ষিক রিপোর্টে ওই সংস্থাটি ভারতকে ‘একটি বিশেষ উদ্বেগজনক দেশ’ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য আমেরিকার বিদেশ দফতরকে সুপারিশ করেছে। দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রশ্নটি তোলার জন্যও বলেছে সংস্থাটি।
এর আগেও নরেন্দ্র মোদী সরকারের জমানায় সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার নিয়ে প্রশ্ন তুলে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগের কথা তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে আমেরিকার সংস্থাটি। ২০২০ সাল থেকে ভারত নিয়ে আমেরিকার সরকারকে একাধিক সুপারিশও করেছে তারা। যদিও সেই সব সুপারিশ মানেনি আমেরিকা। সংস্থাটির দাবি, গত কয়েক বছর ধরেই ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার অত্যন্ত দ্রুত অবনতি হয়েছে। ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা বেড়েছে। এর আগে সংস্থাটি বলেছিল, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে খর্ব করার জন্য বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সিএএ-এনআরসি-র কড়া সমালোচনাও করেছিল সংস্থাটি।
আমেরিকার সংস্থার রিপোর্টটি সামনে আসার পরেই তড়িঘড়ি এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে দিল্লি। ওই রিপোর্টকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে দাবি করে যাবতীয় বক্তব্য খারিজ করেছে বিদেশ মন্ত্রক। মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানান, এত মিথ্যা বিবরণ দিয়ে সংস্থাটি নিজেরাই নিজেদের সুনাম নষ্ট করছে।