Freedom of Press

‘সংবামাধ্যমের স্বাধীনতায় কোনও হস্তক্ষেপ নয়’, বাংলাদেশকে কড়া বার্তা পালাবদলের আমেরিকার

জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট সরকারের আমলে শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলকে স্বাগত জানিয়েছিল ওভাল অফিস।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ০১:১৩
(বাঁ দিকে থেকে) জো বাইডেন, মুহাম্মদ ইউনূস, ডোনাল্ড ট্রাম্প

(বাঁ দিকে থেকে) জো বাইডেন, মুহাম্মদ ইউনূস, ডোনাল্ড ট্রাম্প —ফাইল চিত্র।

প্রেসিডেন্ট ভোটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পরেই সুর বদলাল ওভাল অফিস। বুধবার আমেরিকার বিদেশ দফতর স্পষ্ট ভাষায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে জানিয়ে দিল, কোনও পরিস্থিতিতেই সাংবাদিকদের স্বাধীনতা এবং অধিকারে হস্তক্ষেপ করা চলবে না।

Advertisement

সম্প্রতি তিন দফায় বাংলাদেশের ১৬৭ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। আমেরকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বেদান্ত পটেল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা চাই সব সাংবাদিকের স্বাধীনতা ও অধিকারকে যথাযথভাবে সম্মান দেখানো হোক।’’

জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট সরকারের আমলে শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলকে স্বাগত জানিয়েছিল ওভাল অফিস। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারপর্বেই বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে ইউনূস সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন রিপাবলিকান পার্টির নেতা ট্রাম্প।

কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, ট্রাম্পের আমলে আমেরিকার সরকার বাংলাদেশ সম্পর্কে কী অবস্থান নেবে, বিদায়ী সরকারের বিদেশ দফতরই সেই দিশানির্দেশ দেখিয়ে দিয়েছে বুধবার। শুধু সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সওয়াল নয়, ইউনূস সরকারকে বিরোধীদের গণতান্ত্রিক অধিকারের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন পটেল। ১০ নভেম্বর আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি এবং ধরপাকড়-হামলার প্রসঙ্গ তুলে আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের মন্তব্য— ‘‘আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং ভিন্নমত পোষণ করতে পারার অধিকারকে সমর্থন করি। আমেরিকা মনে করে, কোনও গণতন্ত্রিক পরিবেশের জন্য এগুলি অপরিহার্য।’’

আরও পড়ুন
Advertisement