Arunachal Pradesh

ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচল প্রদেশ, চিনা ‘আগ্রাসনের’ নিন্দাপ্রস্তাব পাশ আমেরিকার সেনেটে

বৃহস্পতিবার সেনেটর জেফ মার্কলে, বিল হ্যাগারটি, টিম কেইন এবং ক্রিস ভ্যান হোলেনের উত্থাপন করা ওই প্রস্তাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনা ফৌজের আগ্রাসী আচরণের নিন্দা করা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৩ ১২:৪৮
US Senate Committee says, Arunachal Pradesh an integral part of India, slams China for aggressive and expansionist policies

ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা। —ফাইল চিত্র।

অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, বৃহস্পতিবার এই মর্মে আমেরিকার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটের সংশ্লিষ্ট কমিটিতে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরের এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকারের এই উদ্যোগ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন কূটনীতির কারবারিদের একাংশ।

জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর আমেরিকা সফরের আগে বিশ্বের ভূকৌশলগত পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে চিনকে কড়া বার্তা দিয়েছিল বাইডেন সরকার। লাদাখে চিনা ফৌজের আগ্রাসন এবং ইউক্রেন দখলের জন্য রাশিয়ার হামলাকে একই পংক্তিতে বসানোর বার্তা দিয়ে নয়াদিল্লিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ওয়াশিংটন পাশেই রয়েছে। এই আবহে সেনেট কমিটিতে নতুন প্রস্তাব পাশের ঘটনায় সেই ‘বৃত্ত’ সম্পূর্ণ হল বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সেনেটর জেফ মার্কলে, বিল হ্যাগারটি, টিম কেইন এবং ক্রিস ভ্যান হোলেনের উত্থাপন করা ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘অরুণাচল প্রদেশ যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সে বিষয়ে আমেরিকার অবস্থান অনমনীয়। গণপ্রজাতন্ত্রী চিন ওই ভারতীয় প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি বিঘ্নিত করতে যে আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে, আমেরিকা তার নিন্দা করছে।’’ এমনকি, অরুণাচলের একাংশ চিনা সেনা জবরদখল করে রয়েছে বলেও ওই প্রস্তাবে অভিযোগ করা হয়েছে।

লাদাখের মতোই অরুণাচলের কিছু এলাকা ঘিরে নয়াদিল্লি এবং বেজিংয়ের মধ্যে পুরনো দ্বন্দ্ব রয়েছে। গত দু’বছরে একাধিক বার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লাগোয়া তাওয়াংয়ে দুই সেনার সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। চলতি মাসে নয়াদিল্লির আপত্তি উড়িয়ে অরুণাচলের ১১টা এলাকার নতুন নামকরণ করেছে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার। এই আবহে আমেরিকার সেনেটের কমিটিতে গৃহীত এই প্রস্তাবের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করছেন কূটনীতিকদের একাংশ। তাঁদের মতে, সেনেটের এই প্রস্তাব সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে সংঘাতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের অবস্থান দৃঢ় করবে।

আরও পড়ুন
Advertisement