Pregnancy Test

পরীক্ষায় বসতে অন্তঃসত্ত্বা কি না তার প্রমাণ দিতে হবে! চাপের মুখে মত বদল বিশ্ববিদ্যালয়ের

উগান্ডার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হয়, নার্সিংয়ের পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে হলে যে যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা দিতে হয়, সেই পরীক্ষায় বসার শর্ত হল ‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট’।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
কাম্পালা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২২ ১৩:০৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পরীক্ষায় বসার যোগ্যতামানের অন্যতম হল ‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট’। অর্থাৎ, কোনও পরীক্ষার্থী অন্তঃসত্ত্বা কি না, সে বিষয়ে নিঃসংশয় হওয়ার পরেই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে তাঁদের। গত মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনই নিদান দিয়েছিল উগান্ডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়। চাপের মুখে অবশ্য পিছু হটে গত বৃহস্পতিবারই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না তাঁরা।

গত মঙ্গলবার আফ্রিকার ওই দেশটির কাম্পালা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়, নার্সিংয়ের পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে হলে যে যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা দিতে হয়, সেই পরীক্ষায় বসার আবশ্যিক শর্ত হল ‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট’। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে তবেই মিলবে পরবর্তী পরীক্ষায় বসার ছাড়পত্র। শুধু তা-ই নয়, এই পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থানীয় মুদ্রায় ৫০০০ টাকা আগাম জামিন দিতে হবে।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের কথা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সে দেশের চিকিৎসক, নারী অধিকার রক্ষার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। তাঁরা অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আবেদন জানান। সে দেশের প্রখ্যাত মহিলা চিকিৎসক ক্যাথরিন টুইট করে লেখেন, “বৈষম্যমূলক এই নিয়ম কোনও ভাবেই মানা যায় না।” জনৈক মানবাধিকার কর্মী লেখেন, “এর চেয়ে অপমানজনক আর কিছু হতে পারে না।

চাপের মুখে নতিস্বীকার করতে বাধ্য হন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকালেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়, নার্সিংয়ের পরীক্ষায় বসার জন্য কোনও পড়ুয়াকে অন্য কোনও পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে না। একই সঙ্গে পড়ুয়াদের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, “তোমরা শুধু মন দিয়ে পড়াশোনা করে যাও।”

আরও পড়ুন
Advertisement