Israel-Hamas Conflict

পণবন্দিরা মুক্তি পাচ্ছেন, তবে ইজ়রায়েলের সব শর্ত মানতে এখনও রাজি নয় হামাস: নেতানিয়াহু

নেতানিয়াহুর দফতর জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের জন্য শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হচ্ছে। যদিও বৃহস্পতিবার হামাসের ভূমিকা নিয়ে আপত্তি তুলে বৈঠক পিছোনোর কথা জানানো হয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:৩১
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। —ফাইল চিত্র।

যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনেই সমস্ত ইজ়রায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তবে এখনও তেল আভিভের সমস্ত শর্ত মানতে তারা রাজি হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে এ কথা জানিয়েছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

Advertisement

কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানির মধ্যস্থতা এবং আমেরিকা ও মিশরের সক্রিয় সহযোগিতায় বুধবার রাতে গাজ়া ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয়েছে যুযুধান দুই পক্ষ। নেতানিয়াহুর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের জন্য শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘পণবন্দিদের পরিবারকেও সরকারের তরফে এ বিষয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে।’’

যদিও বৃহস্পতিবার সকালে নেতানিয়াহুর দফতর যুদ্ধবিরতির সম্ভবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানিয়েছিল, চুক্তিতে যে সমস্ত শর্ত রাখা হয়েছিল, হামাস শেষ মুহূর্তে সেগুলির পুরোপুরি মান্যতা দিচ্ছে না। চুক্তির বাইরে তারা অতিরিক্ত সুবিধা আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রিসভার বৈঠক পিছোনোর ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছিল। জবাবে হামাস নেতা সামি আবু জ়ুহরি বলেন, ‘‘হামাস সংঘর্ষ বিরতির চুক্তিকে মান্যতা দিচ্ছে না বলে নেতানিয়াহু যে দাবি করেছেন, তা ভিত্তিহীন।’’

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর রাতে আচমকা গাজ়া থেকে ইজরায়েল ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে ওই ইহুদি নাগরিকদের পণবন্দি করেছিল হামাস। আর তার পরেই গাজ়া ভূখণ্ড জুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছিল নেতানিয়াহুর ফৌজ। ইজ়রায়েলি সেনার হামলায় প্রায় ৫৩ হাজার প্যালেস্টাইনির মৃত্যু হয়েছে গত ১৬ মাসে। অন্য দিকে, ৭ অক্টোবর এবং পরবর্তী সময়ে হামাসের আক্রমণে নিহত হয়েছেন প্রায় দু’হাজার ইজ়রায়েলি। কাতারের রাজধানী দোহায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ঐকমত্যের পরে হামাসের তরফে জানানো হয়েছে, তারা সমস্ত ইজ়রায়েলি পণবন্দিকে পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেবে।

Advertisement
আরও পড়ুন