Hindenburg Research

আদানিকাণ্ড ‘ফাঁস করা’ সেই হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধ হচ্ছে! কারণও জানালেন সংস্থার প্রধান

কারচুপি করে শেয়ারের দাম বাড়ানো এবং কর ফাঁকি-সহ বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এনেছিল ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’ ২০২৩ সালের গোড়ায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৩২
(বাঁ দিকে) গৌতম আদানি। ন্যাথান অ্যান্ডারসন (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) গৌতম আদানি। ন্যাথান অ্যান্ডারসন (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

তাদের প্রকাশ করা রিপোর্টের জেরে সমস্যায় পড়েছিলেন ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানি। শেয়ারদর ‘ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে’ দেখানোর অভিযোগের তদন্তে আদানি গোষ্ঠীকে সাহায্য করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির মাধবী পুরী বুচের বিরুদ্ধেও। এ বার বন্ধ হতে চলেছে আমেরিকার সেই শেয়ার বাজার বিশ্লেষক তথা কর্পোরেট তথ্যানুসন্ধান সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ!

Advertisement

সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান ন্যাথান অ্যান্ডারসন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।’’ সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ তাঁর জীবনের একটা অধ্যায়, গোটা জীবন নয়। ভেবেচিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ন্যাথামের যুক্তি, কাজের চাপে ব্যক্তিগত জীবনে সময় দিতে পারছিলেন না। জীবনে ভারসাম্য আনতেই আপাতত সংস্থা বন্ধ করছেন। কিন্তু তাঁর হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কোনও ‘প্রভাব’ কাজ করেছে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।

প্রসঙ্গত, কারচুপি করে শেয়ারের দাম বাড়ানো এবং কর ফাঁকি-সহ বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এনেছিল ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’ ২০২৩ সালের গোড়ায়। এ নিয়ে কেন্দ্রকে ধারাবাহিক ভাবে নিশানা করেছিল বিরোধীরা। উঠেছিল জেপিসি (যৌথ সংসদীয় কমিটি) তদন্তের দাবি। শেয়ার বাজারে আদানিকাণ্ডের প্রভাব খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও সেই তদন্তে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি আদানিদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার হিন্ডেনবার্গ বন্ধের ঘোষণার পরেই আদানিদের শেয়ারের দর চড়েছে বাজারে।

Advertisement
আরও পড়ুন