Kabul Suicide Bombing

আত্মঘাতী হানায় হত ছয়, জখম ১৩ কাবুলে, সন্দেহের নিশানায় সেই আইএস-খোরাসান গোষ্ঠী

এই আত্মঘাতী হামলার নেপথ্যে পশ্চিম এশিয়ার জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর আফগান শাখা আইএস-খোরাসান (আইএস-কে) রয়েছে বলে মনে করছে তালিবান শাসকগোষ্ঠী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:১৭
আত্মঘাতী হানা কাবুলে।

আত্মঘাতী হানা কাবুলে। —ছবি : রয়টার্স।

আবার আত্মঘাতী জঙ্গিহানা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে। শহরের দক্ষিণপ্রান্তে কালা-ই-বখতিয়ার এলাকায় সোমবার বিকেলে ওই আত্মঘাতী মানববোমা হামলায় অন্তত ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম ১৩ জন। তালিবান নিয়ন্ত্রিত কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জ়াদরন বলেন, ‘‘এক ব্যক্তি তার শরীরে বিস্ফোরক জ্যাকেট পরে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।’’

Advertisement

এখনও পর্যন্ত কোনও সংগঠন হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে এই আত্মঘাতী হামলার নেপথ্যে পশ্চিম এশিয়ার জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর আফগান শাখা আইএস-খোরাসান (আইএস-কে) রয়েছে বলে মনে করছে তালিবান শাসকগোষ্ঠী। ২০২১ সালে আমেরিকার সেনা প্রত্যাহার পর্বে কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ এবং পরবর্তী পর্যায়ে একাধিক নাশকতামূলক ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে আইএস-কের বিরুদ্ধে।

বর্তমান পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের একাংশ নিয়ে ছিল প্রাচীন খোরাসান অঞ্চল। আইএস-এর আফগান শাখা ওই অঞ্চলকে তাদের নামে জুড়ে নিয়েছে। গত কয়েক বছরে একাধিক বার বিভিন্ন তালিবান ঘাঁটিতেও আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তারা। ২০১৪-য় পাক তালিবান নেতা হাফিজ সইদ খান আইএস-কে গঠন করেছিলেন। তৎকালীন আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির অনুগামী হাফিজ ২০১৬-য় আমেরিকার বিমান হানায় নিহত হন। পাক সীমান্ত ঘেঁষা উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানের নানগরহর, নুরিস্তান, কুনার প্রদেশ আইএস-কের ঘাঁটি। মূল সংগঠন আইএস-এর মতোই তাদের লক্ষ্য খিলাফতের (খলিফার শাসন) পুনঃপ্রতিষ্ঠা।

আরও পড়ুন
Advertisement