taliban

Afghan Crisis: আমেরিকার অস্ত্রে ভর করে আরও ভয়ানক তালিবান! দখলে অত্যাধুনিক হামভি থেকে ম্যানপ্যাক

তালিবানের হাতে ঠিক কত অস্ত্রশস্ত্র গিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পেন্টাগন। পোস্ট- আমেরিকার সমরাস্ত্রে বলিয়ান হয়ে আরও শক্তিশালী তালিবান।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
কাবুল শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২১ ১৯:১০
আমেরিকার দেওয়া হামভিতে সওয়ার তালিবান।

আমেরিকার দেওয়া হামভিতে সওয়ার তালিবান। ছবি- রয়টার্স

মাইন নিরোধক গাড়ি থেকে অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার, আমেরিকার ছেড়ে যাওয়া অস্ত্র সম্ভার এখন তালিবানের হাতে। আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে আমেরিকার সেনা বিদায় নেবে, এই ঘোষণার পর থেকেই জল্পনা চলছিল অত্যাধুনিক সমর সম্ভার কি এ বার তালিবানের হাতে পড়বে? সেই জল্পনাই সত্যি হওয়ার পথে।

দু’দশক ধরে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়েছে আমেরিকার সেনা। প্রত্যক্ষ ভাবে তালিবান মোকাবিলার পাশাপাশি আফগান সেনাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে তারা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দাবি অনুযায়ী, আফগান সেনাকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করেছে আমেরিকা। বিশেষজ্ঞ মহলের মত, সেই অর্থের সিংহ ভাগই খরচ হয়েছে প্রশিক্ষণ এবং সমরাস্ত্র কিনতে। সেই বিপুল অস্ত্রভান্ডার এখন তালিবানের হাতে।

Advertisement
গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

ক’দিন আগেই আমেরিকার দেওয়া এম ৪ কার্বাইন, এম ১৬ রাইফেল হাতে তালিবান যোদ্ধাদের ছবি ছেয়ে গিয়েছিল নেটমাধ্যমে। সেগুলো ছিল নিতান্তই ‘স্মল আর্মস’। এ বার আমেরিকার দেওয়া অত্যাধুনিক ‘হামভি’র উপর দাঁড়িয়ে তালিবানি যোদ্ধাদের ছবি প্রকাশ্যে এল। এই পরিস্থিতিতে তালিবানের হাতে ঠিক কত অস্ত্রশস্ত্র গিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পেন্টাগন।

সূত্রের খবর, ২০১৩ থেকে ২০১৬-র মধ্যে আফগান ন্যাশনাল সিকিউরিটি ফোর্সকে ৬ লক্ষেরও বেশি লাইট ওয়েপন বা বন্দুক-রাইফেল জাতীয় হালকা অস্ত্রশস্ত্র দিয়েছিল আমেরিকা। ৮০ হাজারের বেশি যুদ্ধে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক মাইন নিরোধক গাড়ি পেয়েছিল তারা। এ ছাড়া নাইট ভিশন চশমা, ম্যানপ্যাক দিয়েছিল তারা। এর পাশাপাশি ২০১৭ সাল থেকে ২ বছরের বেশি সময় ধরে আমেরিকা ৭ হাজার মেশিন গান, যে কোনও রাস্তায় চলতে পারে এমন ৪ হাজার ৭০০টি হামভি এবং ২০ হাজারের বেশি গ্রেনেড সরবরাহ করেছে আফগান ন্যাশনাল সিকিউরিটি ফোর্সকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সে সবই এখন তালিবানের হাতে। প্রশ্ন উঠছে, আমেরিকা কি নিজের দেওয়া সমরাস্ত্র ধ্বংস করতে বিশেষ কোনও অপারেশন চালাবে? জবাব অজানা এখনও।

Advertisement
আরও পড়ুন