ট্রেনের জানলা ভেঙে বাইরে বেরিয়ে আসছেন যাত্রীরা। ছবি: সংগৃহীত।
চলন্ত ট্রেনের ভিতরে আচমকাই ধোঁয়া দেখতে পান যাত্রীরা। মুহূর্তেই সেই ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল ট্রেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় জানলা, দরজা বন্ধ ছিলে ট্রেনের। যাত্রীদের মধ্যে আগুন-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় ছোটাছুটি পড়ে যায়। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অলাইন।
সকলেই দরজা খুলে বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন। কিন্তু দরজা স্বয়ংক্রিয় হওয়ায়, সেটি খুলছিল না। ফলে ট্রেনের ভিতরে আরও আতঙ্ক ছড়ায়। চিৎকার, চেঁচামেচি, কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে। ফায়ার অ্যালার্ম বাজলেও দরজা খুলতে চাইছিল না ট্রেনের। ফলে নিজেদের বাঁচানোর জন্য অন্য কোনও পথ খোলা ছিল না যাত্রীদের কাছে।
Stuck on the train at Clapham Common and carriages filling with smoke, doors won’t open if it wasn’t for workmen on the platform we wouldn’t have got out! @TfL you should be ashamed! The response from station staff was horrific! @SkyNews @BBCNews @itvnews pic.twitter.com/D0MHItF0R3
— Jake sharp (@jakesharp0108) May 5, 2023
শেষমেশ নিজেদের বাঁচাতে যাত্রীরা জানলার কাচ ভাঙা শুরু করেন। একের পর এক কামরার জানলার কাচ ভেঙে ট্রেনের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসেন যাত্রীরা। জেক শার্প নামে এক টুইটার গ্রাহক ওই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনেন। ক্যাপশনে লেখেন, “লন্ডনের ক্ল্যাপহ্যাম কমন স্টেশনে আটকে থাকা ট্রেনে ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল। দরজা খুলছিল না। একটা ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের।”
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন (টিএফএল) যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়। এই ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায়। টিএফএলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের প্রশ্ন, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যদি দরজা কাজ না করে, তা হলে বেঘোরে প্রাণ দিতে হবে যাত্রীদের।