হ্যারিস সুলতানের টুইট করা এই ছবি ঘিরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত।
কবর থেকে তুলে মেয়েদের ধর্ষণ করা হচ্ছে পাকিস্তানে। ডেলি টাইমস-কে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের টুইটে প্রকাশিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল আনন্দবাজার অনলাইনও। কিন্তু অল্টনিউজ-এর ‘ফ্যাক্ট চেক’ (Fact Check)-এ গোটা ঘটনাটিই ভুয়ো (Fake News) বলে ধরা পড়ে।
News agencies and News portals have reported that Pakistani parents are locking graves of their daughters to avoid rape. Thse articles are based on a tweet by an Ex Muslim atheist Harris Sultan, An author of a book 'The curse of God, Why I left Islam'. pic.twitter.com/hx7w9J19rK
— Mohammed Zubair (@zoo_bear) April 30, 2023
যে ছবিটি প্রকাশ করে দাবি হয়েছিল যে, পাকিস্তানে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, আসলে সেই ছবিটি পাকিস্তানেরই নয় (Fake News)। ‘দ্য কার্স অফ গড, হোয়াই আই লেফ্ট ইসলাম’-এর লেখক হ্যারিস সুলতান তাঁর টুইটে একটি ছবি দিয়েছিলেন। সেই ছবিতে একটি সমাধিস্থলে লোহার খাঁচা দিয়ে ঢাকা এবং তাতে তালা লাগানো। সেই ছবিটি প্রকাশ করে তিনি লিখেছিলেন, “কবর থেকে তুলে মেয়েদের ধর্ষণ করা হচ্ছে পাকিস্তানে। তাই মেয়েদের বাঁচাতে বাবা-মায়েরা কবরস্থল লোহার খাঁচা দিয়ে আটকে দিচ্ছেন।” এই টুইট মুহূর্তে ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সেই টুইট প্রকাশ করে। ডেলি টাইমস-কে উদ্ধৃত করে ঘটনাটি উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থাটি। বহু সংবাদমাধ্যমও ওই একই ছবি ব্যবহার করে খবরটি প্রকাশ করে।
The #LockedGrave is located in Madannapet of #Hyderabad, India and not in Pakistan.
— Surya Reddy (@jsuryareddy) April 30, 2023
The family of an elderly woman locked the #grave with the iron grill to protect the place.
It's #viral with False claim that Pakistani parents are locking graves of their daughters to avoid rape. pic.twitter.com/ODm3KRffmz
বিষয়টি নিয়ে হুলস্থুল পড়ে যেতেই ‘ফ্যাক্ট চেক’ (Fact Check) করে অল্টনিউজ। ফ্যাক্ট চেকার মহম্মদ জুবেইর পাল্টা একটি টুইট করেন এই ছবি প্রসঙ্গে। তিনি দাবি করেছেন, সবুজ রঙের গ্রিল দিয়ে আটকানো কবরস্থলের যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি পাকিস্তানের নয়। ওই ছবিটি ভারতের হায়দরাবাদের।
ওই কবরস্থলের উপর যাতে আর কাউকে কবর না দেওয়া হয়, এমন ঘটনা রুখতেই লোহার খাঁচা দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছিল। ওই কবরস্থল এক বৃদ্ধার। তাঁর ছেলে লোহার গ্রিলটি কবরের উপর লাগিয়ে দিয়েছিলেন। যাতে কেউ ওই কবরের উপর পা না দিয়ে ফেলেন।
Pakistani parents lock daughters' graves to avoid rape
— ANI Digital (@ani_digital) April 29, 2023
Read @ANI Story | https://t.co/2vbtYavyj5#Pakistan #necrophiliacases #sexualharassment #crime pic.twitter.com/1AndHMUXlZ
লজিক্যাল ইন্ডিয়ান-ও ‘ফ্যাক্ট চেক’ (Fact Check) করে। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে, সেটির সঙ্গে ‘মৃতদেহ ধর্ষণের’ কোনও সম্পর্ক নেই। ছবিটি হায়দরাবাদের। সূর্য রেড্ডি নামে এক টুইটারগ্রাহক ১ মে-তে টুইট করেন, “যে ছবিটি প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি পাকিস্তানের নয়। হায়দরবাদের মদন্নাপেটের। মিথ্যা দাবি করা হয়েছে যে, মেয়েদের মরদেহ কবর থেকে তুলে ধর্ষণ করা হচ্ছে পাকিস্তানে।” যার টুইট ঘিরে এত হইচই সেই হ্যারিস সুলতান পরে দাবি করেছেন, তিনি টুইটটি মুছে দিয়েছেন।