রয়টার্সের নিহত সাংবাদিক ইসাম আবদুল্লা। ছবি: রয়টার্স।
ইজ়রায়েল-লেবানন সীমান্তে আলমা আল-শাব শহরে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে নিহত হলেন সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিক ইসাম আবদুল্লা। আহত তায়ের আল-সুদানি এবং মাহের নাজ়ে নামে রয়টার্সের দুই সাংবাদিক। শনিবার সকালের ওই ঘটনায় এএফপি এবং পশ্চিম এশিয়ার সংবাদমাধ্যম আল জাজ়িরা-সহ আরও কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা আহত হয়েছে। ঘটনার জন্য ইজ়রায়েলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে লেবানন সরকার এবং সে দেশের সশস্ত্র সংগঠন হেজবুল্লা।
রয়টার্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, লাইভ সম্প্রচারের সময়ই বিস্ফোরণে তাদের সাংবাদিক ইসাম নিহত হয়েছেন। সে সময় ক্যামেরাটি একটি পাহাড়ের দিকে তাক করা ছিল। একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দের পরে বাতাস ধোঁয়ায় ভরে যেতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে ভিডিয়ো ফুটেজে শোনা যায় আর্তনাদের শব্দ। প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনাকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বলেই মনে করা হচ্ছে। সে সময় ইসামের আশপাশে থাকা আরও কয়েক জন সাংবাদিকও এই ঘটনায় আহত হন।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি শনিবার বলেন, ‘‘লেবাননের মাটিতে ইজ়রায়েল ধারাবাহিক রকেট হামলা চালাচ্ছে। এই ঘটনা তারই পরিণতি।’’ অন্য দিকে, রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজ়রায়েলের প্রতিনিধি গিলার্দ এর্দান রয়টার্সের প্রতিনিধি মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা কখনও কোনও সংবাদমাধ্যমকে নিশানা করি না। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে।’’
গত ৭ অক্টোবর গাজ়া সীমান্ত থেকে প্যালেস্তেনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইজ়রায়েলে হামলা চালানোর পরেই লেবাননের হেজবুল্লা বাহিনী তাদের সমর্থন করেছিল। এর পর ইরানের মদতপুষ্ট ওই সশস্ত্র গোষ্ঠী ইজ়রায়েল ভূখণ্ডে কয়েকটি ‘প্রতীকী’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তার পরেই ধারাবাহিক ভাবে দক্ষিণ লেবাননে ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান হামলা চালাচ্ছে ইজ়রায়েল। পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এবং শক্তিশালী হেজবুল্লা বাহিনীতে রয়েছেন লক্ষাধিক যোদ্ধা। অতীতে বেশ কয়েক বার ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ লড়াই চালিয়েছে তারা।