Elon Musk

‘মাস্ককে ঘৃণা করলে হর্ন বাজান’! আমেরিকা, ইউরোপে টেসলা কর্তার বিরুদ্ধে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিক্ষোভ

আমেরিকায় টেসলার ২৭৭টি শোরুম এবং পরিষেবা কেন্দ্র ঘেরাও করেন নাগরিকদের একাংশ। নিউ জার্সি, ম্যাসাচুসেটস, কানেটিকাট, নিউ ইয়র্ক, মেরিল্যান্ড, মিনেসোটায় টেসলার শোরুম ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ১৬:২১
আমেরিকার অলিম্পিয়া শহরে চালকদের হর্ন বাজাতে বলছেন অবসরপ্রাপ্ত নাবিক জিনা অ্যান্ডারসন।

আমেরিকার অলিম্পিয়া শহরে চালকদের হর্ন বাজাতে বলছেন অবসরপ্রাপ্ত নাবিক জিনা অ্যান্ডারসন। ছবি: রয়টার্স

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তার পরেও ইলন মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা টেসলার শোরুম ঘিরে বিক্ষোভ চলছেই। আমেরিকা থেকে সেই বিক্ষোভ ছড়িয়েছে ইউরোপের কিছু শহরে। অভিনব পন্থায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মানুষজন। তাঁদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘মাস্ককে ঘৃণা করলে হর্ন বাজান’। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে ‘ঘনিষ্ঠ’ মাস্ককে আমেরিকার দক্ষতা বিষয়ক দফতরের মাথায় বসিয়েছেন ট্রাম্প। সেই পদে বসে হাজার হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন মাস্ক। সেই নিয়েই নাগরিকদের একাংশের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে ক্ষোভ। সরকারি কাজে টেসলা কর্তার ‘নাক গলানো’ নিয়েও প্রতিবাদে সরব হয়েছেন আমেরিকার বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ।

Advertisement

গত কয়েক মাসে টেসলার বেশ কয়েকটি শোরুম লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। সংস্থার কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। পরিসংখ্যান বলছে, বিক্ষোভের প্রভাব পড়েছে টেসলা সংস্থার গাড়ির বিক্রিতে। শনিবার প্রথম বার আমেরিকায় টেসলার ২৭৭টি শোরুম এবং পরিষেবা কেন্দ্র ঘেরাও করেন নাগরিকদের একাংশ। নিউ জার্সি, ম্যাসাচুসেটস, কানেটিকাট, নিউ ইয়র্ক, মেরিল্যান্ড, মিনেসোটায় টেসলার শোরুম ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল পোস্টার। তাতে লেখা, ‘‘মাস্ককে ঘৃণা করলে হর্ন বাজান।’’ ওয়াশিংটন, শিকাগো, ইন্ডিয়ানাপোলিস, সিয়াটলেও ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভের আঁচ। প্রতিবাদীদের গলায় শোনা যায় স্লোগান, ‘‘ইলন মাস্ককে যেতেই হবে।’’ স্লোগানের সঙ্গেই বাজানো হয়েছে ড্রাম।

ওকল্যান্ডে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ডেনিস ফ্যাগালে বলেন, ‘‘আমরা ফ্যাসিবাদী দেশে রয়েছি। এখনই এ সব বন্ধ করতে হবে, নয়তো আমেরিকার যা কিছু ভাল, সব আমরা হারিয়ে ফেলব।’’ লন্ডনের রাস্তায়ও প্রতিবাদে শামিল হন ২০ থেকে ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রবাসী মার্কিনিরাও।

এর আগে ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, মাস্কের মালিকানাধীন সংস্থা টেসলার গাড়িতে হামলা চালালে সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে ২০ বছর পর্যন্ত জেল খাটতে হতে পারে! অভিযোগ, তার পরেও আমেরিকায় টেসলার শোরুম লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। তার মাঝেই টেসলার গাড়ি বিক্রি কমেছে বলে অভিযোগ। যদিও মাস্ক তা মানেননি। এ বার আমেরিকায় টেসলার সব শোরুমের সামনে চলল বিক্ষোভ।

Advertisement
আরও পড়ুন