—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
জঙ্গি-বিরোধী অভিযানে পাকিস্তান সেনার গোলাগুলিতে প্রাণ হারাতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে! স্বীকার করল প্রশাসন। শনিবার ভোরে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমে খাইবার পাখতুনখোয়ার পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গি দমনে নেমেছিল পাক সেনা। সেই অভিযানে তাদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ সাধারণ মানুষের। ‘ভুল’ স্বীকার করে বিবৃতি জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। একই সঙ্গে তদন্তের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। জঙ্গি-বিরোধী অভিযানের সময় সাধারণ মানুষের হতাহতের তথ্য প্রকাশ করা পাকিস্তানের পক্ষে বিরল ঘটনা বলেই মনে করছেন অনেকে।
২০২২ সালের নভেম্বরে পাক সেনার সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি বাতিল করেছে তেহরিক-ই-তালেবান। তার পর থেকেই পাকিন্তানের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ অনেকটাই বেড়েছে। বিশেষ করে খাইবার প্রদেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। জঙ্গি দমনে পাল্টা ছক কষছে পাক সেনা।
শনিবার ভোরে মারদান জেলার পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গি দমন অভিযানে নেমেছিল পাক সেনা। ওই দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গিদের থাকার খবর পাওয়ার তথ্য পেয়েই অভিযানে নামে তারা। দাবি, ওই অভিযানে অনেক জঙ্গিকে মারা হয়েছে। কিন্তু শনিবার দিনভর বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছিল, পাক সেনার অভিযানে সাধারণ মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছিল প্রশাসন। তবে সন্ধ্যার পর প্রশাসনের তরফে সাধারণ বাসিন্দাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। পাক সরকার এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, সোয়াট অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় অনেকেই গবাদি পশুদের চরাতে নিয়ে যান। শনিবার ভোরেও গিয়েছিলেন। সেই সময়ই পাক সেনা গোলাগুলি শুরু করে। তাতেই অনেক সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়েরা মৃতদেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভও দেখান। প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র মুহাম্মদ আলি সইফ বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানের সময় সর্বদাই সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রাধান্য পায়। তবে কখনও কখনও অনিচ্ছাকৃত ঘটনা ঘটে যায়।’’