Israel-Hamas Conflict

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস! পাঁচ পণবন্দিকে মুক্তি দেবে, তবে চাপাল পাল্টা শর্তও

রমজ়ান মাস চলাকালীনই নেতানিয়াহুর নির্দেশে গত ১৮ মার্চ আবার গাজ়ায় শুরু হয়েছে গোলাবর্ষণ। হামাস পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় পরিস্থিতি বদল হয় কি না, সেটাই দেখার।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ১০:৩১
mas agreed to Egypt\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s ceasefire proposal

ইজ়রায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজ়া। —ফাইল চিত্র।

ইজ়রায়েলি হামলায় গাজ়ায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। উত্তরের বেইত লাহিয়া এবং দক্ষিণের খান ইউনিস ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র বাহিনী হামাসেরও বেশ কয়েক জন নেতা প্রাণ হারিয়েছেন ইজ়রায়েলি হামলায়। এ হেন পরিস্থিতিতে তাদের সামনে আবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিল মিশর এবং কাতার। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মিশরের দেওয়া প্রস্তাবে রাজি হয়েছে হামাস। এডেন আলেকজান্ডার-সহ পাঁচ আমেরিকান-ইজ়রায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি তারা।

Advertisement

পাঁচ পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার পরিবর্তে হামাসও কিছু প্রত্যাশায় রয়েছে বলে খবর। প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির শর্তে ফিরে যেতে চায় তারা। গাজ়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক সাহায্য পৌঁছোনোর অনুমতি ফিরে পেতে চায়। শুধু তা-ই নয়, যুদ্ধবিরতির পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনার জন্য একটি চুক্তিও করতে চায়।

দীর্ঘ দিন ধরে ইজ়রায়েল এবং হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাত বন্ধ করতে মধ্যস্থতার কাজ করছে কাতার এবং মিশর। আমেরিকাও রয়েছে সেই তালিকায়। দিন কয়েক ধরে গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন মিশর এবং কাতার নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, মিশরের প্রস্তাবের জবাবে ইজ়রায়েলও পাল্টা প্রস্তাব দিয়েছে। ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দফতর থেকে জানানো হয়েছে নতুন প্রস্তাবের কথা। তবে কী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

চলতি মাসের শুরুতে ইজ়রায়েল ফের গাজ়ায় নতুন করে আক্রমণ শুরু করে। সেখানে মানবিক ত্রাণ পৌঁছোনোর ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তারা জানায়, জীবিত পণবন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত ইজ়রায়েলি বাহিনী গাজ়ার কিছু অংশে থাকবে।

২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধ চলছে। সম্প্রতি শর্তসাপেক্ষে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। কিন্তু প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর গাজ়ায় আবার হামলা শুরু করেছে ইজ়রায়েল। রমজ়ান মাস চলাকালীনই নেতানিয়াহুর নির্দেশে গত ১৮ মার্চ আবার গাজ়ায় শুরু হয়েছে গোলাবর্ষণ। হামাস পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় পরিস্থিতি বদল হয় কি না, সেটাই দেখার।

Advertisement
আরও পড়ুন