বাঁদিকে পদত্যাগী শাফিউল ইসলাম। ডানদিকে জাতীয় পার্টির অগ্নিদগ্ধ দফতর। —ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার রাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। শুক্রবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউল ইসলাম!
কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত? ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত প্রতিবেদন জানাচ্ছে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শাফিউল ‘ব্যক্তিগত কারণে’র কথা জানিয়েছেন। কিন্তু সেই সঙ্গেই তাঁর সাফাই, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার বিপ্লব বাস্তবায়ন করতে গেলে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে থেকে তা সম্ভব নয়। তাই ছাত্র–জনতার বিপ্লবকে এগিয়ে নিতে দলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
প্রয়াত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ এরশাদ প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি গত দেড় দশকে জাতীয় সংসদের বিভিন্ন নির্বাচনে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধেছে। গত ৫ অগস্ট জনবিক্ষোভের জেরে হাসিনার সরকারের পতনের পর তাই আন্দোলনকারীদের একাংশের রোষ এরশাদের দলের উপরেও পড়েছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে পোস্ট করে জাতীয় পার্টিকে ‘জাতীয় বেইমান’ বলে উল্লেখ করেন। তার পরেই হয় হামলা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোটা-বিরোধী ছাত্রদের নেতা হাসনাত আবদুল্লা ও সারজিস আলমের নেতৃত্বে রাজধানী ঢাকায় জাতীয় পার্টির সদর দফতরে হামলা চালানো হয়েছিল। জাতীয় পার্টির কর্মীরা তা প্রতিহত করলে ‘ছাত্র-জনতা’ সরে যায়। রাতে আবার এসে দফতরে ঢুকে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মহম্মদ কাদের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকায় সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ঘটনাচক্রে, তার পরেই নিজের জেলা রংপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে দল ছাড়ার ঘোষণা করলেন জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক।