জোরালো ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মারাকাশের একটি বাড়ি। ছবি: রয়টার্স।
জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মরক্কোর মাটি। শুক্রবার মধ্যরাতের সেই ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতের সংখ্যাও বহু।
আফ্রিকার ভূতত্ত্ব সর্বেক্ষণ জানিয়েছে, রাত ১১টার একটু পরে মারাকাশের ৭১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে কম্পন অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মাটি থেকে সাড়ে ১৮ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৮।
সেই জোরালো ভূমিকম্প আঘাত হানার পরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে মারাকাশের একাধিক বাড়ি। ভাঙা বাড়ির নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। ধ্বংসস্তূপে এখনও অনেকের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে প্রশাসন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভূমিকম্পের পর মারাকাশের বিভিন্ন রাস্তায় চওড়া ফাটল দেখা দিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকার বিদ্যুৎ এবং টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। মারাকাশের হাসপাতালগুলিতে আহতদের উপচে পড়া ভিড়।
ভূমিকম্পের কারণে ক্ষয়ক্ষতির বেশ কয়েকটি ছবি ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ভিডিয়োগুলিতে দেখা গিয়েছে, মারাকাশের একাধিক বাড়ি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। সে শহরের বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও ভিডিয়ো এবং ছবিগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে মরক্কোর বিপদে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মরক্কোকে সম্ভাব্য সমস্ত রকম সাহায্য করার আশ্বাসও তিনি দিয়েছেন।
সমাজমাধ্যম ‘এক্স (সাবেক টুইটার)’ হ্যান্ডলে মোদী জানিয়েছেন, “মরক্কোয় ভূমিকম্পের কারণে প্রাণহানির ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এই বিপদের সময়ে আমি মরক্কোর জনগণের পাশে আছি। যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। ভারত এই কঠিন সময়ে মরক্কোকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত।’’