Myanmar Violence

বিদ্রোহীদের অগ্রগতি ঠেকাতে মরিয়া মায়ানমার সেনা, সাহায্য নিচ্ছে একদা ব্রাত্য রোহিঙ্গাদের

বিদ্রোহীদের অগ্রগতি রুখতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নীতি নিয়েছে মায়ানমারের সেনা জুন্টা। সে দেশের ‘সক্ষম’ নাগরিকদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করে চলতি বছরের গোড়়াতেই জারি হয়েছে সরকারি নির্দেশিকা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:০৫
Representative Image

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিয়তির পরিহাস বোধহয় একেই বলে। বছর সাতেক আগে তাঁদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ জাতিদাঙ্গায় মদত দিয়েছিল মায়ানমার সেনা। প্রাণ বাঁচাতে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিমকে পালাতে হয়েছিল দেশ ছেড়ে। এ বার গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে বিদ্রোহীদের মোকাবিলায় সেই ‘ব্রাত্য’ রোহিঙ্গাদেরই সাহায্য নিচ্ছে মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকার।

Advertisement

বিদ্রোহীদের অগ্রগতি রুখতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নীতি নিয়েছে মায়ানমারের সেনা জুন্টা। সে দেশের ‘সক্ষম’ নাগরিকদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করে চলতি বছরের গোড়়াতেই জারি হয়েছে সরকারি নির্দেশিকা। আর সেই ‘সক্ষম’দের তালিকায় রয়েছেন জাতিদাঙ্গায় ঘরছাড়া হয়ে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা যুবকেরাও। মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী একটি ওয়েবসাইটে দাবি, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন রোহিঙ্গা যুবককে ভর্তি করানো হয়েছে সেনায়।

তাইল্যান্ডে নির্বাসিত গণতন্ত্রপন্থী সরকারের সাংবাদমাধ্যম ‘ইরাবতী’ জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের অনেককেই কার্যত জোর করে সেনায় ভর্তি করানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর থেকে সে দেশের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নয়া জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিল। তার পরে আরও কয়েকটি জনজাতি সংগঠন সেই বিদ্রোহে যোগ দেয়। ইতিমধ্যেই মায়ানমারের বড় অংশ দখল করেছে বিদ্রোহী জোট।

আরও পড়ুন
Advertisement