Nepal Flood

হাইওয়েতে ধস, চাপা পড়ে মৃত তিনটি গাড়ির ৩৫ জন! নেপালের বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা ১৭০ ছাড়াল

কাঠমান্ডুর দক্ষিণ অংশে একটি হাইওয়েতে রবিবার ধস নামে। ওই সময় ওই রাস্তায় তিনটি যাত্রিবাহী গাড়ি ছিল। ধসে সেগুলি চাপা পড়ে যায়। ওই তিন গাড়িতে থাকা মোট ৩৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:১৬
বন্যাবিধ্বস্ত নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

বন্যাবিধ্বস্ত নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ছবি: সংগৃহীত।

নেপালের বন্যায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ১৭০-এর গণ্ডি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে নেপালে যে বিপর্যয় শুরু হয়েছে, রবিবার রাত পর্যন্ত তাতে নিখোঁজের সংখ্যা ৪২। মৃত্যু আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। রাজধানী কাঠমান্ডুর কাছে বাগমতি নদী এবং তার উপনদীগুলির জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কোথাও কোথাও নদীর জল দু’কূল ছাপিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। তাতে ভেসে গিয়েছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি এবং অনেক গাড়ি। কাঠমান্ডুতে হাইওয়েতে ধস নেমে একসঙ্গে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে রবিবার।

Advertisement

নেপাল প্রশাসন সূত্রে খবর, কাঠমান্ডুর দক্ষিণ অংশে একটি হাইওয়েতে রবিবার ধস নামে। ওই সময় ওই রাস্তায় তিনটি যাত্রিবাহী গাড়ি ছিল। ধসে সেগুলি চাপা পড়ে যায়। ওই তিন গাড়িতে থাকা মোট ৩৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে তিন হাজারের বেশি নিরাপত্তাকর্মীকে। হেলিকপ্টার এবং মোটরবোটের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন এলাকায় পৌঁছে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন তাঁরা। পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণসামগ্রীও।

নেপালের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় নেপালে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। যা নজির গড়েছে ইতিমধ্যেই। কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের কাছে একটি জায়গায় ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টির হিসাব পেয়েছে আবহাওয়া দফতর। ২০০২ সালের পর থেকে যা আর কখনও হয়নি।

বৃষ্টি এবং মুহূর্মুহু ধসের কারণে রাজধানী কাঠমান্ডু নেপালের বাকি অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিপর্যয়ে আটকে পড়েছেন অনেক পর্যটকও। সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ঋষিরাম তিওয়ারি বলেছেন, ‘‘কাঠমান্ডুর সঙ্গে যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করতে আমাদের উদ্ধারকারীরা কঠোর পরিশ্রম করছেন। এখনও পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি মানুষকে আমরা উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে পেরেছি। ধসের পর ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে হাইওয়ে মেরামত করার কাজও শুরু হয়েছে।’’

বৃষ্টি এবং বন্যার কারণে শনিবার নেপালের বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে ১৫০টি ঘরোয়া বিমান বাতিল হয়েছিল। তবে রবিবার সকাল থেকে বিমান পরিষেবা আবার স্বাভাবিক হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন