মিশেল ওবামা (বাঁ দিকে), জো বাইডেন (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
একদা ছিলেন আমেরিকার ‘ফার্স্ট লেডি’। এ বার কি প্রেসিডেন্ট ভোটেও নেমে পড়বেন মিশেল ওবামা? এই প্রশ্ন উঠছে কারণ, ডেমোক্র্যাটদের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় তিনিই হয়েছেন প্রথম পছন্দ। এবং তা করতে গিয়ে মিশেল পিছনে ফেলেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও। তার পরেই শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা।
রাসমুসেন রিপোর্ট পোলস। এর মাধ্যমে দৈনিক ভিত্তিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের ‘অ্যাপ্রুভাল রেটিং’ জানা যায়। সেই সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে যে, ডেমোক্র্যাটদের প্রায় অর্ধেকই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের বদলে অন্য মুখ দেখতে চান। সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রায় ৪৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাটই জানিয়েছেন যে, তাঁরা নভেম্বরের ভোটের আগে বাইডেন বাদে অন্য কোনও প্রার্থীকে দেখতে পছন্দ করবেন। যেখানে, ৩৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বাইডেনেই সিলমোহর দিচ্ছেন।
৪৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বাইডেনের বদলে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসাবে দেখতে চান। তাঁদের কাছে সমীক্ষায় প্রশ্ন রাখা হয়েছিল যে, বাইডেনের বদলি হিসাবে কাকে দেখতে চান তাঁরা? তার জবাবেই রমরমা বারাক-ঘরনির। সর্বাধিক ২০ শতাংশ ডেমোক্র্যাট ভোটদাতা মিশেলকে বাইডেনের বদলি প্রার্থী হিসাবে মেনে নিচ্ছেন।
এই তথ্য থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার। নভেম্বরে আমেরিকায় যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে চলেছে, তাতে প্রাথমিক ভাবে মিশেলের পক্ষে ২০ শতাংশ ডেমোক্র্যাটের সমর্থন রয়েছে। মিশেলের সমর্থকদের দাবি, নভেম্বরে বাইডেনের জায়গায় মিশেল ভোটে লড়ুন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসাবে। তবে মিশেল একা নন, এই দৌড়ে রয়েছেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, হিলারি ক্লিন্টন, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম এবং মিশিগানের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমের। অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় কমলা পেয়েছেন ১৫ শতাংশ ভোট। ১২ শতাংশ ডেমোক্র্যাট মনে করেন, এ বারের প্রেসিডেন্ট ভোটও হিলারি বনাম ট্রাম্প হোক। যদিও তালিকায় সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন মিশেল। সূত্রের খবর, তাঁকে প্রেসিডেন্ট ভোটে লড়ার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করার কথা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এত দিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভোটের গতিপ্রকৃতি বলছিল, লড়াই কেবল বাইডেনের সঙ্গে ট্রাম্পের। কিন্তু ভোট যত এগিয়ে আসছে, উঠে আসছে নতুন নতুন নাম। ঠিক যেমন মিশেল। যদিও বাইডেন নিজেকেই যোগ্যতম প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরছেন। কিন্তু সমস্যার জায়গা অন্যত্র। বাইডেনের প্রধান অন্তরায় হয়ে উঠতে চলেছে তাঁর বেড়ে চলা বয়স। যে কারণে সম্ভবত তাঁকে ধর্তব্যের মধ্যে আনতে চাইছেন না ভোটারদের একটা বড় অংশ। সে ক্ষেত্রে মিশেলের বেড়ে চলা জনপ্রিয়তা কি কিছুটা হলেও হোয়াইট হাউজের দৌড়ের কালোঘোড়া হয়ে উঠতে পারবে?