Mexico

কুখ্যাত মাদক পাচারকারীকে ধরতে নিহত ২৯! এল চাপোর ছেলেকে আমেরিকার হাতে দিল না মেক্সিকো

মেক্সিকোর বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে আমেরিকায় গুজম্যানের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা বেরিয়েছিল। কিন্তু সে দেশের আইনি বাধ্যবাধ্যকতার জন্য তাঁকে আমেরিকার হাতে তোলা সম্ভব নয়।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মেক্সিকো সিটি শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১০:৪৬
মাদক পাচারকারী ওভিডিও গুজম্যান করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যান ২৯ জন।

মাদক পাচারকারী ওভিডিও গুজম্যান করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যান ২৯ জন। ছবি: রয়টার্স।

আমেরিকার নিরন্তর দাবি সত্ত্বেও, কুখ্যাত মাদক পাচারকারী ‘এল চাপো’র ছেলে, আর এক মাদক পাচারকারী ওভিডিও গুজম্যানকে সে দেশে প্রত্যর্পণ করল না মেক্সিকো। গত বৃহস্পতিবারই গুজম্যানকে গ্রেফতার করেছিল মেক্সিকোর পুলিশ। শুক্রবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতের বিচারক গুজম্যানের প্রত্যর্পণের বিষয়টি স্থগিত রাখেন। গুজম্যানের গ্রেফতারি অভিযান চলার সময় উত্তপ্ত হয় উত্তর মেক্সিকো। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যান ২৯ জন।

Advertisement

মেক্সিকোর বিদেশমন্ত্রী মার্সেলো এবরার্ড জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় গুজম্যানের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা বেরিয়েছিল। কিন্তু সে দেশের আইনি বাধ্যবাধ্যকতার জন্য তাঁকে আমেরিকার হাতে তোলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তিনি। তা ছাড়া গুজম্যানের বিরুদ্ধে মেক্সিতোতেও একাধিক মামলা চলার বিষয়টিকে তাঁকে দেশে রাখার যুক্তি হিসাবে দেখিয়েছেন তিনি।

গুজম্যানের বাবা জোয়াকুইন গুজম্যান ওরফে ‘এল চাপো’ও কুখ্যাত মাদক পাচারকারী ছিলেন। ২০১৫ সালের ১১ জুলাই তিনি জেলের সুড়ঙ্গ দিয়ে মোটরবাইক চেপে পালিয়ে যান। এই ঘটনার ৪ বছর পর তিনি আমেরিকায় ধরা পড়েন। সেখানে তাঁর জেল হেফাজত হয়। কিছু দিন পরেই মেক্সিকো সফরে আসছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো। তাঁরা সে দেশে উত্তর আমেরিকান দেশগুলির একটি বৈঠকে যোগ দেবেন। ট্রাম্প জমানার পরে ক্রমশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত হয়েছে আমেরিকা এবং মেক্সিকোর। এই পরিস্থিতিতে এই ঘটনা অস্বস্তি বাড়িয়েছে দুই দেশেরই।

আরও পড়ুন
Advertisement