smoking

১৪ বছরে ৩৫৫ ঘণ্টা ধূমপান! সময় নষ্ট করায় ১৩ লক্ষ টাকা জরিমানা সরকারি কর্মীর, কাটা হল করও

গত ১৪ বছর ধরে তিনি মোট সাড়ে ৪ হাজার বার ধূমপান করেছেন। আর তার জেরেই ‘শাস্তি’ হিসাবে তাঁকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করল সরকারি সংস্থা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ওসাকা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩ ১১:২২
Smoking

অফিসে গিয়ে বার বার ধূমপান করে সময় নষ্ট করায় জরিমানা সরকারি কর্মীর। প্রতীকী ছবি।

অফিসে গিয়ে কাজের ফাঁকে ধূমপান করে ‘শাস্তি’ পেলেন এক ব্যক্তি। গত ১৪ বছর ধরে তিনি মোট সাড়ে ৪ হাজার বার ধূমপান করেছেন। আর তার জেরেই ‘শাস্তি’ হিসাবে তাঁকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করল সরকারি সংস্থা। শুধু জরিমানাই নয়, তাঁর প্রাপ্ত বেতন থেকে করও কেটে নেওয়া হয়েছে।

শুনে অবাক লাগলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে জাপানে। ‘দ্য স্ট্রেট টাইমস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাপানের ওসাকায় একটি সরকারি অফিসে কাজের ফাঁকে ফাঁকে ধূমপান করতেন এক ব্যক্তি এবং তাঁর দুই সঙ্গী। সেই খবর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছয়। তখন তিনি তিন জনকে ডেকে সতর্ক করেন। এর পরেও যদি ধূমপান না ছাড়েন, তা হলে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হতে পারে, এমনটাও জানানো হয়। কিন্তু তার পরেও ওই তিন জন লুকিয়ে ধূমপান চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

Advertisement

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, অফিসের এইচআর (হিউম্যান রিসোর্সেস) থেকে বার কয়েক সতর্ক করার পরেও যখন কাজ হয়নি, তখন তাঁদের কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তিন জনকে তলব করে এইচআর। সেখানেও তাঁরা মিথ্যা কথা বলেন। কিন্তু আবার ধূমপান করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়তেই ‘শাস্তি’র ব্যবস্থা করেন কর্তৃপক্ষ। ডিরেক্টর পদমর্যাদার ওই কর্মীকে ‘লোকাল পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্ট’-এ ‘কর্তব্যে নিষ্ঠার অভাব’-এর অভিযোগ এনে জরিমানা করা হয়েছে। তাঁর বেতন থেকে ১.৪৪ মিলিয়ন ইয়েন (১৪,৭০০ ডলার), ভারতীয় মুদ্রায় ১৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়াও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁর বেতন কাটা হয়েছে। ছ’মাস বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে ১০ শতাংশ করও।

ধূমপান নিয়ে ওসাকায় কঠোর আইন রয়েছে। ২০০৮ সালে চালু হওয়া সেই আইনে বলা হয়েছে, সরকারি অফিস বা অফিস চত্বরে বা সরকারি কোনও সংস্থায় কোনও ভাবেই ধূমপান করা যাবে না। ২০১৯ সালে এক সরকারি স্কুলের শিক্ষক ৩,৪০০ বার ধূমপান করায় তাঁকেও বিপুল অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement