কঙ্গো নদীর ধারে পাহাড়ের একাংশে ধস নেমেছে। ছবি: টুইটার।
পাহাড়ের নীচে ছবির মতো সাজানো ছোট ছোট ঘর। আচমকা তার উপরেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল পাথরের চাঁই। পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে এসে পিষে দিল বাড়িঘর। পাহাড়ের একাংশ যেন গিলে নিল শহরের একাংশ। কঙ্গোয় পাহাড়ি ধসে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
কঙ্গো নদীর ঠিক পাশে মোঙ্গালা প্রদেশের লিসাই শহরের ঘটনা। গত কয়েক দিন ধরে সেখানে মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। সেই কারণেই পাহাড়ে ধস নামে। পাহাড়ের ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে অনেক বাড়ি। বাড়িগুলি পাহাড়ের পাদদেশে তৈরি করা হয়েছিল। ধ্বংসস্তূপে এখনও অনেকে আটকে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
ইতিমধ্যে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে প্রশাসন। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মোঙ্গালা প্রদেশের গভর্নর। তিনি জানিয়েছেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এই বিপর্যয়। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকে থাকা বাসিন্দাদের উদ্ধার করার জন্য আরও উন্নত যন্ত্রপাতি প্রয়োজন। দুর্ঘটনাগ্রস্তদের বাঁচানোর সবরকম চেষ্টা প্রশাসন করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
কঙ্গোয় ধসের ঘটনা আকছার ঘটে থাকে। সেখানে যে সোনার খনি রয়েছে, তাতেও ধস নামে প্রায়ই। কিছু দিন আগে একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল, যাতে দেখা গিয়েছে, সোনার খনির মুখ ধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হাত দিয়ে মাটি সরিয়ে সরিয়ে সেখানে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করছেন অন্য শ্রমিকেরা। পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টিতে ধস নেমে এ বার প্রাণহানির ঘটনাও প্রকাশ্যে এল।