তাজিকিস্তান-কিরঘিজস্তান বিবাদে মধ্যস্থতা করতে চান পুতিন। ফাইল চিত্র।
রাশিয়া-ইউক্রেন, আর্মেনিয়া-আজেরবাইজানের পর এ বার যুদ্ধ শুরু হল পূর্বতন সোভিয়েন ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দুই দেশ তাজিকিস্তান ও কিরঘিজস্তানের মধ্যে। রবিবার থেকে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত দু’পক্ষের শতাধিক সেনা ও অসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দাবি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সোভিয়েতের অন্তর্ভুক্ত দেশ ইউক্রেনে হামলাকারী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ বার যুযুধান দুই দেশকে শান্তির বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘সংঘর্ষ নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। যুদ্ধ থামাতে দু’তরফের আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে রাশিয়া সব সময়ই প্রস্তুত।’’
সোমবার কিরঘিজস্তানের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, এক তরফা ভাবে সংঘর্ষবিরতি সমঝোতা লঙ্ঘন করে তাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ বাতকেনের সীমান্তে হামলা চালিয়েছে তাজিকিস্তান ফৌজ। সীমান্ত থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৩৭ হাজার অসামরিক নাগরিককে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। তাজিকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় সুগদ অঞ্চল থেকে সেনা অভিযান হয়েছে বলে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানাচ্ছে। তাজিকিস্তান ফৌজ ইতিমধ্যেই কিরঘিজস্তানের কয়েকশো বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করে নিয়েছে বলেও প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদে দাবি।
নব্বইয়েক দশকের গোড়ায় ভেঙে যাওয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হওয়া দুই দেশ তাজিকিস্তান এবং কিরঘিজস্তানের মধ্যে প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। যার এক তৃতীয়াংশ নিয়েই দু’দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এর আগে গত বুধবার বাতকেন-সুগদ এলাকায় দু’দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেই গত সপ্তাহ থেকে বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের দখলদারি নিয়ে পূর্বতন সোভিয়েতের দুই দেশ আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার বিরোধ ঘিরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে সেখানেই শতাধিক সেনা ও অসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর খবর মিলেছে।