হবু স্ত্রীর সঙ্গে ওই যুবক। ছবি সংগৃহীত।
প্রেমে পড়লে মানুষ কী না করে! ভালবাসার টানে সব অসম্ভবই সম্ভব হতে পারে। আর সে কারণেই পাহাড়প্রমাণ দূরত্বের বেড়াজাল টপকে তাঁরা একে অপরের হাত ধরেছেন। প্রেমিক বাংলাদেশি। আর প্রেমিকা ইটালির। দুই দেশ, দুই ভিন্ন সংস্কৃতি। এত কিছু ফারাকের মধ্যে একটাই মিল রয়েছে। সেটা হল মনের মিল। আর তার জেরেই তাঁদের প্রেমের কাছে ভৌগোলিক দূরত্ব প্রাচীর হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। বিয়ে করতে সুদূর ইটালি থেকে বাংলাদেশে গিয়েছেন এক তরুণী।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, চাকরিসূত্রে তিন বছর আগে ইটালিতে যান কক্সবাজারের রামু এলাকার বাসিন্দা রুনেক্স বড়ুয়া। ইটালিতে একটি হোটেলে চাকরিতে যোগ দেন রুনেক্স। ওই হোটেলে আগে থেকেই চাকরি করতেন রুবের্তা নামের তরুণী। চাকরি করতে গিয়েই রুনেক্স ও রুবের্তার আলাপ হয়। তার পর সেই আলাপ গড়ায় প্রেমে। তিন বছর ধরে চুটিয়ে প্রেমের পর ওই যুগল বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নভেম্বর মাসের শেষের দিকেই তাঁদের চারহাত এক হওয়ার কথা।
কক্সবাজারের রামু এলাকায় বড়ুয়াদের বাড়িতে খুশির আমেজ। বিদেশিনী বৌকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন পাড়াপড়শিরা। রুনেক্সের কথায়, তাঁর পরিবারের সদস্যরা রুবের্তাকে ভাল ভাবে গ্রহণ করেছেন। বিশেষত, তাঁর মা খুবই খুশি। ছেলের বিয়ে নিয়ে এখন ব্যস্ত রয়েছেন রুনেক্সের মা সুমি বড়ুয়া। তাঁর কথায়, ‘‘ছেলের সঙ্গে বিদেশিনীর বিয়ে দেব, এটা স্বপ্ন ছিল। অবশেষে সেই স্বপ্নপূরণ হচ্ছে।’’ ধুমধাম করেই ছেলের বিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
রুবের্তা ইটালির নাগরিক। আর রুনেক্স বাংলাদেশি। ভাষাগত সমস্যা তো রয়েইছে। তবে সবটাই মানিয়ে-গুছিয়ে নিয়েছেন রুনেক্সের পরিবারের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, বাঙালি মতেই তাঁদের বিয়ে হবে। বিয়ের আগে নাকি টুকটাক রান্নাবান্নাও শিখছেন রুবের্তা। আপাতত বিয়ের অপেক্ষায় দিন গুনছেন ওই যুগল।