Israel-Hamas Conflict

ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে হাত উঠলে, তা আস্ত রাখব না! ইসমাইল হানিয়ার হত্যা স্বীকার করল জেরুজ়ালেম

জুলাই মাসে তেহরানে খুন হন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া। সোমবার ইজ়রায়েল স্বীকার করে নিল, হানিয়াকে হত্যার নেপথ্যে তাদেরই হাত রয়েছে। ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে কোনও হাত উঠলে, তা আস্ত রাখা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:১৭
জুলাই মাসে ইরানের রাজধানী তেহরানে মৃত্যু হয় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার।

জুলাই মাসে ইরানের রাজধানী তেহরানে মৃত্যু হয় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার। —ফাইল চিত্র।

প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করে নিল ইজ়রায়েল। একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল, ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে কোনও হাত উঠলে, তা কেটে ফেলা হবে! এ বছরের জুলাই মাসে ইরানের রাজধানী তেহরানে এক হামলায় মৃত্যু হয় হানিয়ার। তার পর থেকেই হামাস গোষ্ঠী ইজ়রায়েলি সেনার দিকে ওই হামলার অভিযোগ তুলে এসেছে। এ বার ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজ়রায়েল কাটজ়্‌ স্বীকার করলেন, হানিয়াকে হত্যা করেছে সে দেশের সেনাই।

Advertisement

সোমবার ইয়েমেনের বিদ্রোহী ‘হুথি’ গোষ্ঠীকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছিলেন ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেই সময়েই হানিয়া হত্যার কথা স্বীকার করে নেন তিনি। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ অনুসারে, কাটজ়্‌ বলেন, “আমরা হুথিদের উপর জোরদার হামলা চালাব। তাদের নেতৃত্বকে শেষ করে দেব। তেহরানে হানিয়া, গাজ়ায় সিনওয়ার এবং লেবাননে নাসরাল্লার সঙ্গে আমরা যা করেছি, ঠিক তেমনই করা হবে।” তিনি আরও জানান, ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে যে-ই হাত তুলবেন, তাঁর হাত কেটে নেওয়া হবে।

অতীতে হানিয়ার পরিবারের একাধিক সদস্যকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল ইজ়রায়েল সেনার বিরুদ্ধে। চলতি বছরের জুন মাসেই উত্তর গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের পাশে হানিয়ার পরিবারের বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল তারা। সেই হামলায় হানিয়ার পরিবারের ১০ সদস্যের মৃত্যু হয়। ইজ়রায়েলি সেনার হামলায় তাঁর তিন পুত্রও প্রাণ হারান। তার আগে হানিয়ার ভাই এবং ভাইপোও গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলার বলি হয়েছিলেন।

চলতি বছরের জুলাই মাসে ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরান গিয়েছিলেন হানিয়া। সেই সময়েই তেহরানে সংগঠিত বিস্ফোরণে হামাস প্রধানকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পর থেকেই হামাস দাবি করে আসছে, ইজ়রায়েলই হানিয়ার মৃত্যুর জন্য দায়ী। যদিও এ ব্যাপারে ইজ়রায়েল সরকারের তরফে এত দিন পর্যন্ত সরকারি স্তরে কোনও মন্তব্য বা বিবৃতি আসেনি।

Advertisement
আরও পড়ুন