শতরানের পর হরলিন দেওল। ছবি: বিসিসিআই।
এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের মহিলা দলের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ় জয় নিশ্চিত করলেন হরমনপ্রীত কৌরেরা। মঙ্গলবার দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে ১১৫ রানে জিতল ভারতের মহিলা দল। প্রথমে ব্যাট করে হরমনপ্রীতেরা করেন ৫ উইকেটে ৩৫৮। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ইনিংস শেষ হয় ৪৬.২ ওভারে ২৪৩ রানে। ১১৫ রানের ইনিংস খেলে ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন হরলিন দেওল।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন হরমনপ্রীত। বরোদার ২২ গজে সেই সুযোগের পূর্ণ ব্যবহার করলেন ভারতীয় মহিলা ব্যাটারেরা। ওপেন করতে নেমে আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেন স্মৃতি মন্ধানা এবং প্রতীকা রাওয়াল। মন্ধানা করেন ৪৭ বলে ৫৩। ৭টি চার এবং ২টি ছয় মারেন। প্রতীকা করেন ৮৬ বলে ৭৬ রান। ১০টি চার এবং ১টি ছয় মারেন। প্রথম উইকেটের জুটিতে ওঠে ১১০ রান। তবে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় দলের ইনিংসের মেজাজ বদলে দেন হরলিন। তাঁর ১০৩ বলে ১১৫ রানের ইনিংসে রয়েছে ১৬টি চার। হরমনপ্রীত (২২) বড় রান না পেলেও পিচের অন্য প্রান্ত থেকে হরলিনকে যথার্থ সহযোগিতা করলেন জেমাইমা রদ্রিগেজ। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তিনি করলেন ৩৬ বলে ৫২ রান। নিজের ইনিংসটি তিনি সাজান ৬টি চার এবং ১টি ছয় দিয়ে। শেষে রিচা ঘোষ ১৩ এবং দীপ্তি শর্মা ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বোলারেরা ২০টি ওয়াইড বল করেছেন মঙ্গলবারের ম্যাচে। ২৩ রান অতিরিক্ত দিয়েছেন তাঁরা। সফরকারীদের পক্ষে সফলতম বোলার কিয়ানা জোসেফ ২৭ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া অ্যাফি ফ্লেচারের ৩৮ রানে ১ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ধারাবাহিক ব্যবধানে উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। ওপেনার তথা অধিনায়ক হেলি ম্যাথিউজ ২২ গজের এক প্রান্ত আগলে রাখলেও কারও থেকেই প্রয়োজনীয় সাহায্য পেলেন না। ফলে কাজে এল না তাঁর ১০৯ বলে খেলা ১০৬ রানের লড়াকু ইনিংস। ১৩টি চার রয়েছে তাঁর ইনিংসে। সফরকারীদের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছ’নম্বরে নামা শেমাইন ক্যাম্পবেলের ৪৮ বলে ৩৮। আর কেউই বলার মতো রান করতে পারলেন না। মূলত বড় রানের চাপের সামনে ভেঙে পড়ে ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস।
বল হাতে ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেন প্রিয়া মিশ্র। তিনি ৪৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ৪০ রান খরচ করে ২ উইকেট দীপ্তির। ৪২ রানে ২ উইকেট তিতাস সাধুর। ৩৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন প্রতীকা। এ ছাড়া ৪১ রানে ১ উইকেট রেণুকা সিংহের।