Bangladesh Constitution

আপাতত নিষিদ্ধ হচ্ছে না হাসিনার আওয়ামী লীগ, ট্রাইবুনাল সংশোধনী থেকে রেহাই রাজনৈতিক দলকে

ইউনূসের সভাপতিত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদিত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এই অবস্থান বদলের ফলে আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদের আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পেতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:০৬
(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা। মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা। মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আপাতত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করছে না মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সে দেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইন সংশোধনের খসড়া প্রস্তাব থেকে রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ সংক্রান্ত বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বুধবার এ খবর জানিয়েছে।

Advertisement

ইউনূসের সভাপতিত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদিত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এই অবস্থান বদলের ফলে আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদের আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পেতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে গত ১৮ নভেম্বর সরকারের তরফে আইন সংশোধনের যে খসড়া জমা দেওয়া হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল, কোনও রাজনৈতিক দল বা সংগঠন খুন, গুম, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের স্বীকৃতি স্থগিত বা বাতিল করা যাবে।

কিন্তু বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে বলেন, ‘‘আদালত যদি মনে করে, তা হলে মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য কোনও রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করতে পারবে। কিন্তু সরাসরি কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।’’

অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ বিশেষত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্রেরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিল। তাদের যুক্তি ছিল, গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষের উপর ‘উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ’ চালিয়ে শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে আদালত ইতিমধ্যেই চার্জ গঠনের অনুমতি দিয়েছে। দলের সভানেত্রী হাসিনাও সরাসরি খুনের মামলায় অভিযুক্ত। তাই তাঁর দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিল ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। কিন্তু আপাতত সেই পথে হাঁটলেন না ইউনূস।

Advertisement
আরও পড়ুন