গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিলেন ইমরান খান। সোমবার বিকেলে পাকিস্তানের সদ্য-প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভিডিয়ো বক্তৃতায় বলেন, ‘‘যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১,৬০০ কোটি এবং ৮০০ কোটি (পাকিস্তানি) দুর্নীতির মামলা ঝুলছে, তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হল। দেশের কাছে এর চেয়ে বড় অপমান হতে পারে না।’’
ইমরান বক্তৃতায় জানিয়েছেন, পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে তিনি চোরেদের (নয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ এবং তাঁর সহযোগীরা) সঙ্গে বসতে পারবেন না। তাই সদস্য পদ ছাড়ছেন। ইমরানকে অনুসরণ করে তাঁর দল তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তান (পিটিআই)-এর অন্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সদস্যেরাও পদত্যাগ করতে পারেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে। পিটিআই-এর টুইটারেও ইমরানের ইস্তফাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
جس آدمی پر 16 ارب اور 8 ارب روپے کے کرپشن کیسز ہیں،اسے جو بھی وزیراعظم سلیکٹ اور الیکٹ کرتا ہے اس سے بڑی ملک کی توہین نہیں ہو سکتی۔ہم قومی اسمبلی سے استعفے دے رہے ہیں، عمران خان#امپورٹڈ_حکومت_نامنظور pic.twitter.com/hzQf7y1fDe
— PTI (@PTIofficial) April 11, 2022
সোমবার বিকেলে পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি দেশের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর নেতা শাহবাজকে বেছে নেয়। ৩৪২ আসনের পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে শাহবাজের পক্ষে পড়ে ১৭৪টি ভোট। তবে পিটিআই সদস্যেরা ভোটাভুটিতে অংশ না নিয়ে সভা থেকে ওয়াকআউট করেন।
৭০ বছরের শাহবাজ তিন বার পাক পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। দাদা নওয়াজ দেশ ছাড়ার পরে পাকিস্তান মুসলিম লিগের প্রেসিডেন্টের আসনে বসেন তিনি। তখন থেকেই ভাইঝি মরিয়াম শরিফকে নিয়ে দল সামলাচ্ছিলেন। ২০১৮ সালের ১৩ অগস্ট তিনি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য হন। নির্বাচিত হন বিরোধী দলনেতা পদে।
মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন শাহবাজের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একাধিক বিবাহ এবং লন্ডন ও দুবাইয়ে তাঁর বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টের মালিকানার জন্যও তিনি সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে এসেছেন। ২০১৭-য় পানামা কেলেঙ্কারির মামলায় তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে পিএমএল(এন)-এর অন্দরে শাহবাজকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি উঠেছিল। কিন্তু ভাইয়ের বদলে নিজের বিশ্বস্ত সহযোগী শাহিদ খকন আব্বাসিকে বেছে নিয়েছিলেন নওয়াজ।