ধ্রুব হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া হচ্ছে হেলিনা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
আকাশ থেকে শত্রুর ট্যাঙ্ককে ঘায়েল করার ক্ষমতা আয়ত্ত করে ফেলল ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও)। শনিবার রাজস্থানের পোখরান পরীক্ষাকেন্দ্রে ভারতীয় বায়ুসেনার হালকা হেলিকপ্টার ধ্রুব থেকে ছোড়া হেলিনা ক্ষেপণাস্ত্র সফল ভাবে লক্ষ্যভেদ করেছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
ডিআরডিও-র তৈরি এই হালকা ও সহজে বহনযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহৃত ইনফ্রারেড রশ্মি দ্রুত শত্রুর ট্যাঙ্ককে চিহ্নিত করতে পারে। রাতেও ব্যবহার করা যায়। প্রতিকূল ভূপ্রকৃতিতে কপ্টারবাহী হেলিনা অত্যন্ত কার্যকর হবে বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন।
গত দেড় দশক ধরে ভারতীয় সেনার ব্যবহৃত দেশীয় প্রযুক্তির ‘ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র’ (এটিজিএম) ‘নাগ’ এর হেলিকপ্টারবাহী সংস্করণ হেলিনা। সে কারণেই ক্ষেপণাস্ত্রটির এমন নামকরণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ধ্রুব হেলিকপ্টারের নির্মাতাও ভারতীয় সংস্থা ‘হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড’ (হ্যাল)।
Anti-Tank Guided Missile ‘HELINA’ successfully flight-tested.
— Prasar Bharati News Services पी.बी.एन.एस. (@PBNS_India) April 11, 2022
It is one of the most advanced Anti-Tank weapon in the world.@DefenceMinIndia pic.twitter.com/rXOlMpu2Xf
গত জুলাই মাস দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অন্য একটি ‘ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে ডিআরডিও। অত্যন্ত হালকা ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি সেনার একজন জওয়ানই বহন করতে পারবেন। সামরিক পরিভাষায় এমন ক্ষেপণাস্ত্রের নাম ‘ম্যান পোর্টেবল অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল’ (এমপিএটিজিএম)।