Attack outside Republican Event

ট্রাম্পের পরে তাঁর দলের কর্মসূচিস্থলে হামলা! জোড়া ছুরি হাতে কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে মারল পুলিশবাহিনী

সোমবার থেকে আমেরিকার উইসকনসিনের মিলওয়াকিতে শুরু হয়েছে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত থাকছেন রিপাবলিকান পার্টির বহু নেতা-নেত্রীই।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪ ০৯:৪৭

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

দু’হাতে দু’টি ছুরি নিয়ে এক কৃষ্ণাঙ্গ ঘোরাফেরা করছিলেন আমেরিকায় রিপাবলিকান পার্টির রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থলের ঘেরাটোপের বাইরেই। আচমকা সামনে এগিয়ে আসা এক ব্যক্তির উপর হামলা করেন তিনি। এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশবাহিনী বিষয়টি খেয়াল করতেই তারা ছুটে গিয়ে ওই হামলা রুখতে পর পর গুলি চালায় সন্দেহভাজন কৃষ্ণাঙ্গকে লক্ষ্য করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই সন্দেভাজনের।

Advertisement

গত রবিবারই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিলেন এক আততায়ী। এ বার তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টির অনুষ্ঠানস্থলের সামনে এক সশস্ত্র হামলাকারীকে নিকেশ করা হল। পর পর এমন ঘটনায় ট্রাম্পের ‘রাজনৈতিক ফয়দা’ হবে বলেই মনে করছেন অনেকে। প্রথমে তিনি নিজে আততায়ীর লক্ষ্য হয়েছেন। তার পরে তাঁর দলের কর্মসূচির জায়গায় এক সন্দেহভাজনকে গুলি করে মারা হল। প্রতিটি ঘটনাই ভোটের বাজারে ট্রাম্পের ‘রাজনৈতিক ফয়দা’ করে দিচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ওই কৃষ্ণাঙ্গ একজন ভবঘুরে। নাম স্যাম্যুয়েল শার্প। বয়স ৪৩ বছর। তাঁর আত্মীয়েরাই মৃতদেহ দেখে শনাক্ত করেছেন তাঁকে। তাঁর কাছ থেকে দু’টি ধারালো ছুরিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে স্যাম্যুয়েল কী উদ্দেশ্য নিয়ে রিপাবলিকান পার্টির রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের বাইরে ছুরি হাতে ঘোরাফেরা করছিলেন, তা জানা যায়নি।

সোমবার থেকে আমেরিকার উইসকনসিনের মিলওয়াকিতে শুরু হয়েছে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলন। মঙ্গলবারও সেই কর্মসূচি চলছিল। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রিপাবলিকান পার্টির বহু নেতা-নেত্রীরই। মিলওয়াউকির পুলিশ প্রধান জেফ্রি নরম্যান জানিয়েছেন, ট্রাম্পের উপর হামলার ঘটনার কথা মাথায় রেখেই ওই সম্মেলনের নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা ছিল। কর্মসূচিস্থলের বাইরে মোতায়েন ছিল পুলিশবাহিনী। তারা স্যাম্যুয়েলের সঙ্গে এক ব্যক্তির বচসা হতে দেখে এগিয়ে যায়। স্যাম্যুয়েলকে হুমকি দিতেও দেখে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা প্রথমে স্যাম্যুয়েলকে অস্ত্র ফেলে দিতে বলে। কিন্তু তিনি সেই নির্দেশ না মেনে ছুরি হাতে চড়াও হন সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির উপর। তাঁর প্রাণ বাঁচাতেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ।

যদিও স্যাম্যুয়েলের আত্মীয়দের অভিযোগ, ‘‘পুলিশ আমাদের এলাকায় এসে আমাদের লোককে গুলি করে মেরে দিয়ে চলে গেল! পুলিশের কাজ কি এখন লোককে গুলি করে বেড়ানো?’’ ওই এলাকায় তাঁবু গেড়ে বহু ভবঘুরেই বসবাস করেন। মঙ্গলবারের ঘটনায় একজোট হয়ে তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement