Pakistan

পাকিস্তানে ১৫ দিনে ৪ হিন্দু মহিলাকে অপহরণ ও ধর্মান্তর, অভিযোগ পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার

শুধু সিন্ধের হিন্দুরা নন, পাক পঞ্জাব এবং খাইবার-পাখতুনখোয়ায় শিখ তরুণীদের অপহরণ এবং ইসলামে ধর্মান্তকরণের ঘটনাও সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
করাচি শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২২ ১৫:০৪
পাকিস্তানে অপহৃত ও ধর্মান্তরিত হিন্দু কিশোরী।

পাকিস্তানে অপহৃত ও ধর্মান্তরিত হিন্দু কিশোরী। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

হিন্দু কিশোরী বা তরুণীকে অপহরণ। জোর করে ধর্মান্তরণ। তার পর বিয়ে। গত ১৫ দিনে এই নিয়ে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে এমন চতুর্থ ঘটনা ঘটল। অতীতেও পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগকারী পরিবারের সদস্যরা কোনও সুবিচার পাননি বলে অভিযোগও উঠেছে। এ বারও তেমনটাই ঘটেছে।

সিন্ধ প্রদেশের হায়দরাবাদে ফতে চক এলাকা থেকে চন্দ্রা মেহরাজ নামে এক কিশোরীকে সোমবার অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। তাকে জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ তোলা হয়েছে পরিবারের তরফে। যদিও এখনও অপহৃতার হদিস দিতে পারেনি পুলিশ।

Advertisement

গত ২৪ সেপ্টেম্বর সিন্ধ প্রদেশের মিরপুরখাস এলাকার বাসিন্দা মীনা মেঘওয়ার নামে ১৪ বছরের এক হিন্দু কিশোরীকে নসরপুর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ইসলামে ধর্মান্তরিত করে জোর করে বিয়ে করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তার আগে ওই এলাকারই রাখি কুমারী নামে এক তরুণী গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরণ ও বিয়েতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। মীনার বাবা এবং রাখির স্বামী রবি পুলিশের কাছে গিয়েও ফল পাননি। দু’ক্ষেত্রেই পুলিশ যুক্তি দিয়েছিল মীনা এবং রাখি স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে ধর্মান্তরিত হয়েছেন।

কয়েক মাস আগেই পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে দুই হিন্দু নাবালিকা বোনকে অপহরণ করে, ধর্মান্তরিত করিয়ে, জবরদস্তি বিয়ে দেওয়ানোর অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় একটি মুসলিম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। পাক সংখ্যালঘু সংগঠনগুলির অভিযোগ, বার বার এমন ঘটনা ঘটলেও নীরব থাকে পুলিশ-প্রশাসন। পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মাত্র সাড়ে তিন শতাংশ। সম্প্রতি একটি পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, মুসলিম মৌলবাদীদের ধারাবাহিক আক্রমণের শিকার হচ্ছেন পাক সংখ্যালঘুরা।

শুধু সিন্ধের হিন্দুরা নন, পাক পঞ্জাব এবং খাইবার-পাখতুনখোয়ায় শিখ তরুণীদের অপহরণ এবং ইসলামে ধর্মান্তরণের ঘটনাও সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি, কয়েক বছর আগে নানকানা সাহিব শহরের তাম্বু সাহিব গুরুদ্বারের গ্রন্থির তরুণী কন্যাকেও অপহরণ করে ধর্মান্তরণের পর বিয়ে করেছিল স্থানীয় এক বাহুবলী মুসলিম যুবক। গত অগস্টে খাইবার-পাখতুনখোয়ায় এক শিখ শিক্ষিকাও একই পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement