পাকিস্তানে ধর্মান্তরমের বিরুদ্ধে শিখদের বিক্ষোভ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
হিন্দুদের পর এ বার পাকিস্তানে ধারাবাহিক ভাবে শিখদের ধর্মান্তরণের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। অগস্ট মাসে খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে এক শিখ মহিলা শিক্ষককে অপহরণ করে মুসলিম হতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত। মঙ্গলবার, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের বৈঠকে বলেন, ‘‘এমন ঘটনা মর্মান্তিক এবং গুরুতর।’’
পাক সংবাদপত্র ‘ট্রিবিউন’ কয়েক বছর আগেই একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের হাঙ্গু জেলায় খুনের ভয় দেখিয়ে শিখদের গণহারে ধর্মান্তরণে বাধ্য করা হচ্ছে। তৎকালীন পঞ্জাবের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ এ নিয়ে সরব হওয়ার পরে কূটনৈতিক স্তরে প্রতিবাদ জানিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু পরিস্থিতির বদল হয়নি বলে অভিযোগ।
কয়েক মাস আগেই পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে দুই হিন্দু নাবালিকা বোনকে অপহরণ করে, ধর্মান্তরণ করিয়ে, জবরদস্তি বিয়ে দেওয়ানোর অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় একটি মুসলিম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। পাক সংখ্যালঘু সংগঠনগুলির অভিযোগ, বার বার এমন ঘটনা ঘটলেও নীরব থাকে পুলিশ-প্রশাসন। এ বার শিখ শিক্ষিকাকে অপহরণ এবং মুসলিম হতে বাধ্য করার অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিভিন্ন শিখ সংগঠন।