Israel-Hezbollah Conflict

বাঙ্কারের মধ্যে দেহ মিলল হিজ়বুল্লা প্রধানের, কোনও ক্ষতচিহ্ন নেই! যোদ্ধার মৃত্যু কি আতঙ্কে হৃদ্‌যন্ত্র থেমে?

হামলার জেরে তৈরি হওয়া গহ্বরের কাছেই একটি বাঙ্কারের ভিতর থেকে উদ্ধার হল হিজ়বুল্লা প্রধানের দেহ। দেহ উদ্ধার অভিযানে থাকা বাহিনীর কয়েক জনকে উদ্ধৃত করে এমনই জানিয়েছে রয়টার্স।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৪
হিজ়বুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লা।

হিজ়বুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লা। —ফাইল চিত্র।

ইজ়রায়েলি সেনার হামলায় বড় গহ্বর তৈরি হয়েছে লেবাননের রাজধানী বেইরুটের দক্ষিণ দিকের একটি শহরতলি এলাকায়। আর সেই গহ্বরের কাছেই একটি বাঙ্কারের ভিতর থেকে উদ্ধার হল হিজ়বুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লার দেহ। নাসরাল্লার দেহ উদ্ধার অভিযানে থাকা বাহিনীর কয়েক জনকে উদ্ধৃত করে এমনই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। যদিও ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন হিজ়বুল্লার তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

Advertisement

শুধু তা-ই নয়, আরও দু’টি সূত্রকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লা প্রধানের দেহে তেমন কোনও ক্ষতচিহ্নই ছিল না। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ইজ়রায়েলের রকেট হামলায় নিহত হননি নাসরাল্লা? ওই দুই সূত্রের দাবি, খুব সম্ভবত পার্শ্ববর্তী এলাকায় হামলার অভিঘাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হিজ়বুল্লা যোদ্ধা নাসরাল্লা। আর তার জেরেই হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তবে এই বিষয়েও হিজ়বুল্লার তরফে প্রকাশ্যে কিছু জানানো হয়নি।

শনিবার ভারতীয় সময় দুপুর দেড়টায় (লেবাননের স্থানীয় সময় অনুযায়ী সকাল ১১টা) ইজ়রায়েলি সেনার তরফে সমাজমাধ্যমে নাসরাল্লার মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়। বলা হয়, “হাসান নাসরাল্লা আর বিশ্বকে সন্ত্রস্ত করতে পারবেন না।” ইঙ্গিত ছিল এই যে, তাদের হামলাতেই হিজ়বুল্লা প্রধানের মৃত্যু হয়েছে। পরে হিজ়বুল্লা নাসরাল্লার মৃত্যুর খবর স্বীকার করে নেয়। সংগঠনের প্রধানকে শহিদের মর্যাদা দেওয়া হয়। লেবাননও নাসরাল্লার মৃত্যুতে পাঁচ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করে।

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বেইরুটের দক্ষিণে মাটি থেকে ৬০ ফুট নীচে ছিল নাসরাল্লার বাঙ্কার। হিজ়বুল্লার গোপন এই ডেরায় অন্য শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠকে বসেছিলেন নাসরাল্লা। সেই সময়েই বাঙ্কার লক্ষ্য করে ইজ়রায়েল আকাশপথে হামলা চালায় বলে খবর। এই অভিযানের নেপথ্যে ইজ়রায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের বড় ভূমিকা ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। ফরাসি সংবাদপত্র ‘লে পারিসিয়েন’-এর একটি প্রতিবেদনে আবার দাবি করা হয়েছে, ইরানের এক গুপ্তচর নাসরাল্লার গোপন ডেরার কথা জানিয়ে দেন ইজ়রায়েলকে।

Advertisement
আরও পড়ুন