আসারাম বাপু। — ফাইল চিত্র।
সম্প্রতি ১৭ দিনের প্যারোলে ছাড়া পেয়েছিলেন ধর্ষণে অভিযুক্ত ধর্মগুরু আসারাম বাপু। প্যারোলের মেয়াদশেষে ফিরে এসেছিলেন রাজস্থানের জোধপুর জেলে। কিন্তু জেলে এক সপ্তাহও থাকতে হল না। ফেরার ছ’দিনের মাথাতেই শীর্ষ আদালতের নির্দেশে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে গেলেন আসারাম!
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আসারামকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ ও বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ। জানানো হয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার জন্য আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত জামিন পাচ্ছেন ধর্ষণে অভিযুক্ত। তবে জেল থেকে বেরোলেও এখনই পরিজন ও অনুরাগীদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না আসারাম। আপাতত তাঁকে শুধুমাত্র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যাবে। তবে কোন হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করানো যাবে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি শীর্ষ আদালত।
আসারামের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলের হৃদ্রোগের সমস্যা রয়েছে। গত বছর তাঁকে পুণের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে জোধপুর এমসেও ভর্তি করানো হয় আসারামকে। ৮৩ বছর বয়সি আসারাম দীর্ঘ ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি। হৃদ্রোগের পাশাপাশি বয়সজনিত নানা সমস্যাও রয়েছে তাঁর।
সম্প্রতি শারীরিক অসুস্থতার যুক্তি দিয়ে জামিন চেয়েছিলেন আসারাম। দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের। এর আগে একাধিক বার আবেদন করলেও শীর্ষ আদালত তাঁর আবেদনে সাড়া দেয়নি। ২০১৩ সালে আসারামের বিরুদ্ধে নিজের আশ্রমে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। ২০১৮ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে রাজস্থানের জয়পুরের একটি আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তাঁর। ২০২২ সালে রাজস্থান হাই কোর্টে প্রথম বার জামিনের আর্জি জানান আসারাম। উচ্চ আদালত তা খারিজ করে দিলে ২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এর পর ২০২৩ সালে সুরাতের এক মহিলাকে ধর্ষণেও দোষী সাব্যস্ত হন আসারাম। সে বছরের সেপ্টেম্বরে আসারামের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। ২০২৪ সালে জামিন এবং সাজায় স্থগিতাদেশ চেয়ে একাধিক বার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আসারাম।