ডেরা প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিংহ। —ফাইল চিত্র।
হরিয়ানার ভোটের মুখে ফের প্যারোলে মুক্তির জন্য আর্জি জানালেন ডেরা প্রধান গুরমিত রাম রহিম। আগামী ৫ অক্টোবর হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট রয়েছে। তার আগে ২০ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি চেয়ে আবেদন জানালেন ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাম রহিম। সূত্রের খবর, হরিয়ানা সরকার সেই আর্জি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে পাঠিয়েছেন বিবেচনা করার জন্য। কী কারণে ডেরা প্রধান এই সময়ে প্যারোলে মুক্তি চাইছেন, সেই কারণ জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।
আশ্রমের ভিতরে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৭ সালে ডেরা প্রধানকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তাঁর। বর্তমানে তিনি রয়েছেন রোহতকের সুনারিয়া জেলে। জেলে থাকাকালীন বার বার তাঁর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এমনকি পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টও ফেব্রুয়ারিতে জানিয়ে দিয়েছে, আদালতের অনুমতি ছাড়া তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া যাবে না। যদিও তার পরেও বিধি মেনে প্যারোলে মুক্তি মিলেছে রাম রহিমের। গত মাসেও ২১ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। ২ সেপ্টেম্বর জেলে ফিরেছেন। এরই মধ্যে আবার নতুন করে ২০ দিনের প্যারোলের জন্য আর্জি জানালেন ডেরা প্রধান।
জেলবন্দি থাকলেও ডেরা প্রধানের অনুগামী রয়েছে প্রচুর। পঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে তাঁর শিষ্য ও অনুগামীরা ছড়িয়ে রয়েছেন। অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনের সময়েও জেলবন্দি রাম রহিমের ‘ক্ষমতা’ দেখা গিয়েছে। এ বারের লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস, বিজেপি, আম আদমি পার্টি, শিরোমণি অকালি দলের নেতা ও প্রার্থীদের দেখা গিয়েছিল ডেরার সিরসার সদর দফতরে। রাম রহিমের উত্তরসূরি গুরিন্দর সিংহ ধীলোঁর ‘দরবারে’ আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলেন রাজনীতিকেরা। উত্তর ও পশ্চিম ভারতে ডেরার প্রায় এক কোটি অনুগামী রয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির। তাই ডেরা কোনও দলকে সমর্থন করলে তার প্রভাব ইভিএমে পড়তে বাধ্য, এমনই মত রাজনীতির কারবারিদের।