হিজ়বুল্লা প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরাল্লা। —ফাইল চিত্র।
লেবাননের রাজধানী বেইরুটে একের পর এক বোমাবর্ষণ শুরু করেছে ইজ়রায়েল। সেই হামলায় নিহত হিজ়বুল্লা প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরাল্লা। এমনই দাবি করল ইজ়রায়েল সেনা। যদিও হাসানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেনি ইরান মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজ়বুল্লা।
ইজ়রায়েল সেনার মুখপাত্র লেফ্টেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে জানিয়েছেন, নাসরাল্লা নিহত। তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত না করলেও হিজ়বুল্লা-ঘনিষ্ঠ এক সূত্র সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে নাসরাল্লার সঙ্গে কোনও ভাবে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
গত কয়েক দিন ধরেই ইজ়রায়েল সেনা লেবাননের সীমান্তবর্তী এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। তবে শুক্রবার রাতে তাদের নিশানায় ছিল বেইরুট। দফায় দফায় বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে সেখানে। ইজ়রায়েলি সেনা সকালেই দাবি করেছিল, হিজ়বুল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লার ‘গোপন ঘাঁটি’ চিহ্নিত করার পর সেখানে হামলা চালানো হয়েছে। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইজ়রায়েল সেনার দাবি, সেই হামলায় হত নাসরাল্লা।
গত সোমবার থেকে ধারাবাহিক ভাবে লেবাননের বিভিন্ন প্রান্তে হামলা চালাচ্ছে ইজ়রায়েল সেনা। বিবিসি শনিবার জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ইজ়রায়েলি হামলায় লেবাননে নিহতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই হিজ়বুল্লার ড্রোন বাহিনীর প্রধান মহম্মদ হুসেন শ্রাউর এবং অন্যতম কমান্ডার ইব্রাহিম মুহম্মদ কোয়াবিসির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার হিজ়বুল্লা প্রধানের মৃত্যুর দাবি করল ইজ়রায়েল। ১৯৮০-র দশকে লেবাননের গৃহযুদ্ধের মধ্যেই হিজ়বুল্লা গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। ১৯৯২ সাল থেকে এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ধর্মগুরু এবং রাজনৈতিক নেতা নাসরাল্লা।
গত ৭ অক্টোবর গাজ়া থেকে ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের রকেট হামলার পরেই স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সংগঠনটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল হিজ়বুল্লা। তবে সরাসরি ইজ়রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায়নি হিজ়বুল্লা। কিন্তু হিজ়বুল্লা তার উপস্থিতি জানান দিতে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে তিনটি রকেট ছুড়ে ‘প্রতীকী হামলা’ চালায় সে সময়। সম্প্রতি দু’পক্ষ সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে।