লেবাননের রাজধানী বেইরুটে ইজ়রায়েলি সেনার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ছবি: পিটিআই।
সীমান্তবর্তী এলাকায় হিজ়বুল্লার ঘাঁটির পরে এ বার সরাসরি লেবাননের রাজধানী বেইরুটে বোমাবর্ষণ শুরু করল ইজ়রায়েল! শুক্রবার রাত থেকে দফায় দফায় বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে সেখানে। ইজ়রায়েলি সেনার দাবি, শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজ়বুল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লার ‘গোপন ঘাঁটি’ চিহ্নিত করার পর সেখানে হামলা চালানো হয়েছে। হিজ়বুল্লার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার থেকে লেবাননে শুরু হওয়া ইজ়রায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন, হিজ়বুল্লার ড্রোন বাহিনীর প্রধান মহম্মদ হুসেন শ্রাউর এবং অন্যতম কমান্ডার ইব্রাহিম মুহম্মদ কোয়াবিসি। দক্ষিণ লেবাননের পাশাপাশি ইজ়রায়েল অধিকৃত ‘সিরিয়ান গোলান মালভূমি’ (গোলান হাইটস) এলাকায় হিজ়বুল্লার ডেরাতেও হামলা হয়েছে। তবে শনিবার ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠনটি জানিয়েছে, নাসরাল্লা এখনও অক্ষত।
১৯৮০-র দশকে লেবাননের গৃহযুদ্ধের মধ্যেই হিজ়বুল্লা গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। ১৯৯২ সাল থেকে এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন ধর্মগুরু এবং রাজনৈতিক নেতা নাসরাল্লা। গত ৭ অক্টোবর গাজ়া থেকে ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের রকেট হামলার পরেই স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সংগঠনটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল হিজ়বুল্লা। উপস্থিতি জানান দিতে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে তিনটি রকেট ছুড়ে ‘প্রতীকী হামলা’ চালানো হয়েছিল সে সময়। তার পর থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষ দলছে দু’তরফের। ইজ়রায়েলের রাজধানী শহর তেল আভিভ লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও চালিয়েছে হিজ়বুল্লা। ইরানের সেনাবাহিনীর ইমাম হুসেন ব্রিগেডের যোদ্ধারা লেবানন সীমান্তে হিজ়বুল্লা বাহিনীর সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ।