ছবি: এএফপি।
শুক্রবার ইজ়রায়েলের সমস্ত প্রবাসী ভারতীয়ের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা দিল তেল আভিভের ভারতীয় দূতাবাস। সাম্প্রতিক ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই অঞ্চলে ক্রমেই খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি। প্রশ্ন উঠছে ইজ়রায়েলে থাকা ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়েও। এর মধ্যেই বুধবার তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার খুনের পর ইজ়রায়েলে থাকা ভারতীয়দের সতর্ক করল ভারতীয় দূতাবাস।
ইজ়রায়েল এবং ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার আবহে সেখানকার ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তিত ভারত সরকার। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর গাজ়া থেকে ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের রকেট হামলার পরেই নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে ‘প্রতীকী হামলা’ চালিয়েছিল হিজ়বুল্লা। তার পর থেকে তাদের সঙ্গে ধারাবাহিক লড়াই চলছে ইজ়রায়েলি ফৌজের। তবে সম্প্রতি হামাস ও হিজ়বুল্লা দুই শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বরা একে একে খুন হওয়ার পর থেকেই যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় নতুন করে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজেদের এক্স হ্যান্ডলে সতর্কবার্তাটি ভাগ করে নেয় ভারতীয় দূতাবাস। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এই অঞ্চলে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ইজ়রায়েলের সমস্ত ভারতীয় নাগরিককে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মেনে যাবতীয় সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে অনুরোধ করা হচ্ছে।’’ এ ছাড়াও, প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘরের বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘ইজ়রায়েল-নিবাসী সকল ভারতীয় নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইজ়রায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে ভারতীয় দূতাবাস।’’
প্রসঙ্গত, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার সে দেশের রাজধানী তেহরানে হাজির ছিলেন হানিয়া। অভিযোগ, সে রাতেই একটি গোপন সরকারি অতিথিশালায় তাঁকে খুন করে ইজ়রায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। হানিয়ার খুনের বদলা নিতে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে ‘সরাসরি সামরিক প্রত্যাঘাতে’র নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আমি খোমেইনি। তাঁর ওই ‘বার্তা’ পেয়ে বুধবার রাতেই জরুরি বৈঠক করেছে ইরানের জাতীয় সামরিক পরিষদ। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হয়ে উঠতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইরান যে কোনও সময় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এর পরেই সতর্ক করা হয়েছে প্রবাসী ভারতীয়দের। দু’দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে নয়াদিল্লি-তেল আভিভ উড়ানও।