বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। — ফাইল চিত্র।
এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে কমলা হ্যারিসের নাম ঘোষণা করেনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। কিন্তু জনপ্রিয়তার বিচারে ইতিমধ্যেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভোটে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টপকে গিয়েছেন কমলা! রবিবার রয়টার্স-ইপসোস পরিচালিত তিন দিনের জনমত সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, এখনও এক শতাংশ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন কমলাই।
গত সপ্তাহের সোম এবং মঙ্গলবার রয়টার্স-ইপসোসের তরফে যে জনমত সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, তাতে আমেরিকার ৪৪ শতাংশ ভোটদাতার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রথম পছন্দ ছিলেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা। অন্য দিকে, ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন ৪২ শতাংশ ভোটার। রবিবার শেষ হওয়া তিন দিনের আর একটি সমীক্ষায় দেখা গেল, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সমর্থনে এখনও ৪২ শতাংশের সমর্থন রয়েছে। অন্য দিকে, কমলার ঝুলিতে রয়েছে ৪৩ শতাংশের ভোট। অর্থাৎ, এ সপ্তাহের শেষেও এগিয়ে রইলেন কমলাই। ২৬ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত ৮৭৬ জন ভোটার সহ ১০২৫ জন প্রাপ্তবয়স্কের মতামত নিয়ে অনলাইন সমীক্ষাটি করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলা আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট। আগামী ৫ নভেম্বর নির্বাচনে জয়ী হলে প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হওয়ারও নজির গড়বেন তিনি। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোয় এখন ডেমোক্র্যাট পার্টির অন্দরে তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরি কমলা হ্যারিস, তবে এখনও ‘প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী’ হিসাবে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর নাম ঘোষণা করেননি ডেমোক্র্যাটরা। তার জন্য এখনও সপ্তাহখানেক অপেক্ষা করতে হবে। অগস্টের ৭ তারিখ ‘পার্টি কনভেনশনে’ আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এবং তাঁর রানিং মেট, অর্থাৎ ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর মনোনয়ন ঘোষণা করা হবে। তবে কূটনীতিকদের মতে, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকতে পারেন কমলাই। কারণ প্রথমত, বাইডেন নিজে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন। দ্বিতীয়ত, কমলার রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও আইনি অভিজ্ঞতা। কমলা ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ ও প্রথম মহিলা অ্যাটর্নি জেনারেল। শুধু তা-ই নয়, তিনি আমেরিকার প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ ও প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্টও। এ বার ডেমোক্র্যাটদের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ঘোষিত হলে আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম বারের জন্য কোনও অ-শ্বেতাঙ্গ নারী প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়বেন।