নিহত মহম্মদ দেইফ। — ফাইল চিত্র।
হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার পর এ বার মৃত্যুর খবর এল হামাসের সামরিক প্রধান মহম্মদ দেইফের। বৃহস্পতিবার ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে দেইফের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয়েছে।
ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে লিখেছে, ‘‘আমরা এখন নিশ্চিত যে, মহম্মদ দেইফের মৃত্যু হয়েছে।’’ জানানো হয়েছে, গত মাসেই গাজ়ায় একটি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দেইফ হামাসের সামরিক শাখা আল কাসিম ব্রিগেডের প্রধান। মনে করা হয়, গত ৭ অক্টোবর ২০২৩-এ দেইফের নিখুঁত পরিকল্পনাতেই ইহুদিদের পবিত্র দিবস ‘সিমহাত টোরা’র দিনে ইজ়রায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছিল প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি ছিল, ৭ অক্টোবরের হামলার ছক কষায় দেইফের সঙ্গী ছিলেন গাজ়ায় হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। জড়িত ছিলেন আল কাসিম ব্রিগেডের আরও কয়েক জন।
শোনা যায়, আজ থেকে প্রায় ২১ বছর আগে বিমান হানায় মরতে মরতে কোনও ক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন দেইফ। সেই হামলায় এক চোখ, এক হাত এবং এক পা হারিয়েছিলেন। হারিয়েছিলেন নিজের ভাই এবং পরিবারের আরও দুই সদস্যকে। তার পর থেকে হুইলচেয়ারই তাঁর সঙ্গী ছিল। গত দু’দশকেও একাধিক বার ইজ়রায়েলি হামলা হয়েছে তাঁর উপর। কিন্তু কাকতালীয় ভাবে প্রতি বার প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। এ বার তাঁরই মৃত্যুর খবর ঘোষণা করল ইজ়রায়েল।
ইজ়রায়েলের সামরিক বাহিনী সূত্রে খবর, গত ১৩ জুলাই দক্ষিণ গাজ়ার খান ইউনিসে ইজরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় মহম্মদ দেইফ-সহ নিহত হয়েছেন হামাসের খান ইউনিস ব্রিগেডের কম্যান্ডার রাফায়া সালামেহও। যদিও এই খবর আদৌ সত্য কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
প্রসঙ্গত, বুধবারই তেহরানে বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয়েছে স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাসের সর্বেসর্বা ইসমাইল হানিয়াকে। খোদ হামাসের একটি বিবৃতিতেই ঘটনাটির কথা প্রকাশ্যে আসে। ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডও বুধবার সকালে হানিয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। হামাস এবং ইরান সেনার বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ‘জিয়োনিস্ট’রা হানিয়ার বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। উল্লেখ্য, ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই তেহরান গিয়েছিলেন হানিয়া।