ছবি: রয়টার্স।
ঘর থেকে মেয়েদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে জঙ্গিদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা অস্বীকার করল তালিবান। উল্টে এই ধরনের ‘ভুল খবর’ ছড়ানোর জন্য আফগান সরকারকেই দায়ী করল তারা।
এ প্রসঙ্গে পর পর বেশ কয়েকটি টুইট করেছেন তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহিন। তিনি বলেন, ‘তালিবানের বিরুদ্ধে মেয়েদের জোর করে বিয়ে করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটা সরকারের বিষাক্ত প্রচার।’ আরও একটি টুইটে তিনি লেখেন, ‘সম্প্রতি কাবুল বেশ কিছু মিথ্যা অভিযোগ করেছে তালিবানের বিরুদ্ধে। কখনও বলছে মেয়েদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কখনও আবার বলছে সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, বন্দি বানানো হচ্ছে।’
All those claims that the Islamic Emirate of Afghanistan forces people to marry their young girls to Mujahideen are totally wrong. It is a poisonous propaganda.
— Suhail Shaheen. محمد سهیل شاهین (@suhailshaheen1) August 15, 2021
কাবুল থেকে আর মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে তালিবান। একের পর এক প্রাদেশিক রাজ্যগুলি দখল করতে করতে কাবুলের দিকে এগোচ্ছে জঙ্গিরা। যে সব এলাকা দখল করছে সেখানে মৃত্যুলীলা চালাচ্ছে তারা। লুঠ করছে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি। বন্দি বানানো হচ্ছে বহু মানুষকে। শুধু তাই নয়, মেয়েদের বিয়ে করার জন্য পরিবারগুলিকে হুমকি দিচ্ছে তারা। না দিতে চাইলে জোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে আফগান প্রশাসন।
The Islamic Emirate of Afghanistan is not interested in anyone's private property, (not in anyone's cars, land, houses, markets and shops), rather it considers protection of lives and properties of the nation its primary responsibility.
— Suhail Shaheen. محمد سهیل شاهین (@suhailshaheen1) August 15, 2021
বৃহস্পতিবার গজনি, তার পর একে একে কন্দহর, লস্করগাহ ও হেরট বিমানবন্দর দখল করেছে তালিবান বাহিনী। শনিবার মাজার-ই-শরিফ দখল করেছে তারা। রবিবার জালালাবাদও বিনা বাধায় দখল করে নিয়েছে জঙ্গিরা। আর কয়েক কিলোমিটার দূরেই রাজধানী কাবুল। যে গতিতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং প্রাদেশিক রাজধানীগুলি নিজেদের দখলে নিতে শুরু করেছে তালিবান, তা নিয়ে উদ্বেগ এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল।
আমেরিকার সেনাবাহিনী দেশ ছাড়ার তিন সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে উত্তর, পশ্চিম এবং দক্ষিণ আফগানিস্তান নিজেদের দখলে নিয়েছে তালিবান।